বৈধ চ্যানেলে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে খরচ বেশি হওয়ায় অনানুষ্ঠানিক চ্যানেলে রেমিট্যান্স আসছে। এতে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে গেছে। খোলা বাজারের চেয়ে প্রাতিষ্ঠানিক চ্যানেলে বিনিময় হার কম, বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে খরচ বেশি। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক চ্যানেলের অপর্যাপ্ততার কারণে বাংলাদেশে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স আসছে কম। বৈশ্বিক মন্দা ও দক্ষ শ্রমিকের অভাবেও রেমিট্যান্স কমছে। এসব কারণে গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স কমবে
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি এবং বৈদেশিক বাণিজ্যে ঘাটতি বাড়ার কারণে বাংলাদেশের বৈদেশিক রিজার্ভ কমে গেছে। বাংলাদেশে রেমিট্যান্স কমলেও ভারত, নেপালে বাড়বে। ভারত এবার ১০ হাজার কোটি ডলারের রেকর্ড রেমিট্যান্স অর্জন করছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর খরচ বেশি। এক্সচেঞ্জ হাউজ বা ব্যাংকগুলো নানা ফি আদায় করে বলে রেমিট্যান্সের খরচ বেশি পড়ে। এছাড়া বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধাও সীমিত। ফলে অনানুষ্ঠানিক চ্যানেলে রেমিট্যান্স আসছে। এতে করে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স কমছে। অনানুষ্ঠানিক চ্যানেলে রেমিট্যান্স আসায় চলতি বছরে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ ৭ শতাংশ কমতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আসে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে ওইসব দেশে মন্দার আঘাত কম থাকলেও প্রাতিষ্ঠানিক চাকরিজীবী ও উঁচু আয়ের কর্মী কম। কর্মীদের একটি অংশের অবৈধ বা স্থায়ী কাজের সংস্থান নেই। যে কারণেও রেমিট্যান্স কমছে। ইউরোপের দেশগুলো থেকে দ্বিতীয় বৃহত্তম রেমিট্যান্স অঞ্চল। ওইসব দেশে মন্দা থাকায় রেমিট্যান্স প্রবাহ কমছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈধ চ্যানেলে ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে গড়ে খরচ পড়ে ১১ শতাংশের মতো। পোস্ট অফিসের মাধ্যমে সাড়ে ৬ শতাংশ। মানি ট্রান্সফার কোম্পানির মাধ্যমে ৫ দশমিক ২ শতাংশ এবং মোবাইল অপারেটরের মাধ্যমে সাড়ে ৩ শতাংশ। কিন্তু মোবাইল অপারেটরদের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানো এখনও বৈধতা পায়নি। পোস্ট অফিসের মাধ্যমে রেমিট্যান্স আসে না বললেই চলে। কারণ এ খাতে কাঠামো নেই। ব্যাংক ও মানি ট্রান্সফার কোম্পানির মাধ্যমে আসে। এতে খরচ বেশি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বে রেমিট্যান্স সংগ্রহের ক্ষেত্রে ভারত শীর্ষ দেশ। শীর্ষ আট দেশের মধ্যে বাংলাদেশ সপ্তম। দ্বিতীয় মেক্সিকো, তৃতীয় চীন, চতুর্থ ফিলিপাইন, পঞ্চম মিসর, ষষ্ঠ পাকিস্তান ও অষ্টম নাইজেরিয়া।
রেমিট্যান্স সংগ্রহে দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে ভারত। দ্বিতীয় পাকিস্তান। তৃতীয় বাংলাদেশ। চতুর্থ নেপাল, পঞ্চম শ্রীলংকা, ষষ্ঠ আফগানিস্তান, সপ্তম ভুটান, অষ্টম মালদ্বীপ। জিডিপিতে রেমিট্যান্সের অবদানে বাংলাদেশ চতুর্থ। শীর্ষে নেপাল, দ্বিতীয় পাকিস্তান, তৃতীয় শ্রীলংকা, পঞ্চম ভারত, ষষ্ঠ আফগানিস্তান, সপ্তম ভুটান ও অষ্টম মালদ্বীপ।