ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন থেকে আয় ৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। তবে এ আয় থেকে রাজধানী ও রাজধানীর বাহিরে সাত বিভাগীয় শহরে একযোগে ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনা করার জন্য পর্যাপ্ত, না বলে মন্তব্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।
চলতি শিক্ষাবর্ষে ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে গত ২০ মার্চ পর্যন্ত চলে আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামের অনলাইনে আবেদন ও পরীক্ষা ফি জমা প্রক্রিয়া। সেই সঙ্গে গত ২৯ এপ্রিল চারুকলা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে শুরু হয় ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা এবং গতকাল শনিবার ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শেষ হয়। চারুকলা ইউনিট ও আইবিএ’র বিবিএ প্রোগ্রাম ব্যতীত রাজধানী সহ দেশের আট বিভাগীয় কেন্দ্রে একযোগে অনুষ্ঠিত হয় চলতি শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা।
জানা গেছে, এ বছর আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে এবার ২ হাজার ৯৩৪টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছে ১ লাখ ২২ হাজার ৮৩৪ জন শিক্ষার্থী; বিজ্ঞান ইউনিটে ১ হাজার ৮৫১টি আসনের বিপরীতে ১ লাখ ২৭ হাজার ৭৯ জন; ব্যবসা ইউনিটে ১ হাজার ৫০টি আসনের বিপরীতে ৪১ হাজার ৩৬৮ জন, চারুকলা ইউনিটে ১৩০টি আসনের বিপরীতে ৭ হাজার ৯৭ জন এবং আইবিএ-এর বিবিএ প্রোগ্রামে ১২০টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছিলেন ৪ হাজার ৮৫৩ জন।
চার ইউনিটে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ২ লাখ ৯৮ হাজার ৩৭৮ জন, আইবিএ-এর বিবিএ প্রোগ্রামসহ সর্বমোট আবেদন করেছিলেন ৩ লাখ ৩ হাজার ২৩১ জন। যেখানে জনপ্রতি আবেদন ফি ১০০০ টাকা, অন্যদিকে আইবিএ-এর বিবিএ প্রোগ্রামে আবেদন ফি সার্ভিস চার্জসহ ১২৫০ টাকা। সেই হিসেবে আইবিএ ব্যতীত আয় হয়েছে ২৯ কোটি ৮৩ লাখ ৭৮ হাজার ; অন্যদিকে আইবিএ সহ মোট আয় দাঁড়িয়েছে ৩০ কোটি ৪৪ লাখ ৪৪ হাজার ২৫০ টাকা।
ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী প্রতি আবেদন ফি ১ হাজার টাকা এরমধ্যে ৩৩ টাকা অনলাইন সার্ভিস চার্জ এবং বাকি ৯৬৭ টাকার মধ্যে ইউজিসি আদায় করবে ৪০ শতাংশ৷ যা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাগার দিতে হয়। এদিক নিয়ম হলো, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি ফরম বিক্রি করে যে টাকা আয় করবে, তার ৬০ শতাংশ পরীক্ষা সংক্রান্ত খাতে ব্যয় করতে পারবে। আর ৪০ শতাংশ ইউজিসি আদায় করবে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাগারে দিতে হয়।
তবে আয়ের ৬০ শতাংশ একযোগে দেশের আট বিভাগ পরিচালনা করা পর্যাপ্ত নয় বলে, মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ।