দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক: বিভিন্ন ধরনের পানীয় ও বেভারেজকে ‘হেলথ ড্রিঙ্কস’ বা স্বাস্থ্যকর পানীয়ের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য সব ই–কমার্স প্ল্যাটফর্মকে নির্দেশ দিয়েছে ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ ঘোষণার পর বোর্নভিটাকে বাদ দেওয়া হয় এ তালিকা থেকে। এবার হরলিক্সকেও এই তালিকা থেকে বাদ দিল প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান হিন্দুস্তান ইউনিলিভার লিমিটেড (এইচইউএল)।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে বলছে, হরলিক্সকে হেলথ ফুড ড্রিঙ্কসের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে রাখা হয়েছে ফাংশনাল ন্যাশনাল ড্রিঙ্কস (এফএনডি) তালিকায়। এ তালিকায় রাখা হয়েছে আরেক পণ্য বুস্টকেও।
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে হিন্দুস্তান ইউনিলিভারের চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার রিতেশ তিওয়ারি এই ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি বলেন, এই পরিবর্তনের মাধ্যমে এসব পণ্যের ব্যাপারে মানুষের ধারণা আরও স্বচ্ছ হবে।
ফাংশনাল ন্যাশনাল ড্রিঙ্কসের মানে এসব খাবার প্রোটিন ও পুষ্টির অভাব পূরণ করবে। এ ছাড়া ফাংশনাল ন্যাশনাল ড্রিঙ্কসগুলোকে নন–অ্যালকোহলিক খাবার হিসেবেও খাওয়া যেতে পারে। এতে উদ্ভিদ, প্রাণী ও ল্যাবে বানানো বিভিন্ন উপকারী উপাদান রয়েছে, যা মানুষের দেহে পুষ্টির যোগান দেবে।
এর আগে বোর্নভিটা ও হরলিক্সের চিনির মাত্রা বেশি হওয়া নিয়ে ভারতে বিতর্ক শুরু হয়। এরপর সরকারের পক্ষ থেকে আসতে থাকে বিভিন্ন নির্দেশনা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, বোর্নভিটা ও হরলিক্সে চিনির পরিমাণ অনেক বেশি বলে দাবি করেছেন অনেক খাদ্য বিশ্লেষক। এগুলো সাধারণত শিশু ও বয়স্করা খেয়ে থাকে। ফলে বাড়ন্ত বয়সে ও বার্ধক্যে অত্যাধিক চিনি শরীরে প্রবেশ করলে ক্ষতি হতে পারে বলেই অনেকের মত।
এর আগে ভারতের ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অব চাইল্ড জানিয়েছিল, ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দের খাদ্য সুরক্ষা আইনে স্বাস্থ্যকর পানীয়ের কোনো নির্দিষ্ট সংজ্ঞা নেই। সম্প্রতি ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অব ইন্ডিয়ার তরফ থেকে ই-কমার্স ওয়েবসাইটগুলোকে দুগ্ধজাত, সিরিয়াল ও পানীয়কে স্বাস্থ্যকর পানীয়ের বিভাগে অন্তর্ভুক্ত করতে নিষেধ করা হয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এতে গ্রাহকদের ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।