বেতাগী উপজেলার ছোপখালী জহুর উদ্দিন ফাজিল মাদরাসায় দুটি শূন্য পদে গোপনে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে লক্ষাধিক টাকার ঘুষ বাণিজ্যের লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে। পদ দুটি হলো-উপাধ্যক্ষ ও অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর। লিখিত অভিযোগের পর নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত হয়েছে।
জানা যায়, বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের ছোপখালী জহুর উদ্দিন ফাজিল মাদরাসায় উপাধ্যক্ষ ও অফিস কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ম্যানেজিং কমিটি। ওই উপাধ্যক্ষ পদসহ অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর পদে একজন লোক নেয়ার জন্য নাম সর্বস্ব একটি জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। বহুল প্রচারিত পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি না দেয়ার কারণে ওই এলাকার অনেক আগ্রহী প্রার্থী আবেদন করতে পারেননি।
অভিযোগ রয়েছে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও মাদরাসার অন্যান্য শিক্ষকরাও জানে না পত্রিকার নাম ও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখ। অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটরের জন্য আগ্রহী প্রার্থী মো. মনির হোসেন মৃধা বলেন, কবে কোন পত্রিকায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মহিউদ্দিন বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন তা আমরা জানতে পারিনি।
অপর আগ্রহী প্রার্থী নাজমা আক্তার বলেন, আমি, আমার স্বামী ওই অধ্যক্ষের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেছি। তিনি বারবার বলতেন বিজ্ঞপ্তি দিলে আপনারা জানতে পারবেন। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আমার স্বামী সাগর আকনের কাছে ৬ লাখ টাকাও চেয়েছেন। তিনি এও বলেছেন, ডিজির প্রতিনিধি উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও ম্যানেজিং কমিটির কিছু সদস্যের টাকা দিতে হবে। আমরা টাকা দিতে রাজি না হলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আমাদের কিছু জানায়নি। যার কারণে আমি আবেদন করতে পারিনি।
উপাধ্যক্ষ পদে আবেদন করেছেন আবদুস সালাম। তিনি বলেন, আমার কাছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মহিউদ্দিন ৮ লাখ টাকা চেয়েছেন। আমি ওই মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। সাবেক অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান সত্যতা স্বীকার করেন। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মহিউদ্দিন বলেন, আমি কোনো ঘুষ বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত নই। আমার বিরুদ্ধে মহাপরিচালকের কাছে ২০ ডিসেম্বর কামরুল ইসলাম বাবলু অভিযোগ দেয়ার কারণে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুহৃদ সালেহীন জানান, ছোপখালী জহুরুদ্দিন ফাজিল মাদরাসার নিয়োগের বিষয়ে কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতি পেলে বর্তমান নিয়োগ স্থগিত করে পুনরায় নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হবে।