দৈনিকশিক্ষাডটকম ডেস্ক : সাম্প্রতিক প্রকাশিত এক নতুন সমীক্ষা বলছে, শুধু প্রাপ্তবয়স্কদের নয় বরং পিঠে যন্ত্রণার সমস্যা পাল্লা দিয়ে বাড়ছে স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে। তার অন্যতম কারণ স্কুলের ভারী ব্যাগ বহন করা।
পড়াশোনার চাপ বাড়ছে। ফলে স্কুলের ব্যাগও দিন দিন ভারী হচ্ছে। স্কুল যাওয়া-আসার পথে সে ব্যাগ ছোটদের কাঁধেই থাকে। দীর্ঘ দিন ধরে ভারী ব্যাগ টানার ফলে স্কুলপড়ুয়ারা ভুগছে পিঠে ব্যথার সমস্যায়। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, পিঠে ব্যথা হচ্ছে মানেই তার সঙ্গে মেরুদণ্ডের সমস্যা, এমন ভাবা ঠিক হবে না। ছোটদের বিভিন্ন কারণে পিঠে ব্যথা হতে পারে। ভারী ব্যাগ বহন করা সেই কারণগুলো তালিকায় এক নম্বরে। এ ছাড়াও ক্লাসে দীর্ঘক্ষণ এক ভাবে শিরদাঁড়া সোজা করে বসে থাকা কিংবা মাথা নিচু করে লেখা, ফোন ঘাঁটার কারণেও পিঠে ব্যথা বাড়তে পারে।
‘স্ট্যানফোর্ড মেডিসিন চিলড্রেনস হেলথ’ অনুসারে একটি শিশুর স্কুল ব্যাগের ওজন তার শরীরের ১৫ শতাংশের বেশি হওয়া উচিত নয়। শিশুর বয়স অনুযায়ী পিঠের ব্যাগের ওজন হওয়া জরুরি।
প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণির বাচ্চাদের ব্যাগের ওজন হওয়া উচিত দেড় কেজি থেকে দুই কেজি। তৃতীয় শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়াদের ব্যাগের ওজন হওয়া উচিত দুই কেজি থেকে তিন কেজি। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের স্কুল ব্যাগের ওজনের সীমা তিন থেকে চার কেজি। আর নবম এবং দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের পাঁচ কেজির বেশি ওজনের ব্যাগ বহন না করাই শ্রেয়। দীর্ঘ গবেষণার পর গবেষকরা এই তালিকা তৈরি করেছেন।
চিকিৎসকেরা ব্যাগ ব্যবহারের কিছু নিয়মাবলির কথা জানিয়েছেন। তাদের মতে, বাচ্চাদের স্কুল ব্যাগে দুটো স্ট্র্যাপ থাকা জরুরি। যাতে ব্যাগের ভার দুটো কাঁধেই সমান ভাবে পড়ে। ব্যাগের উচ্চতা সব সময় কোমরের আগেই শেষ হয়ে যাওয়া ভাল। অনেক পড়ুয়াই এক কাঁধে ব্যাগ নেন। এই অভ্যাস অত্যন্ত ক্ষতিকর বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা।