সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগ নেতাকে মঞ্চে না ডাকায় প্যান্ডেল, চেয়ার ভাঙচুর ও চাঁদা দাবির ঘটনায় মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ মার্চ) ধামাইচহাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তফা কামাল বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
মামলায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রানা মণ্ডলকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এছাড়া স্থানীয় ছাত্রলীগের ১২ জন নেতার নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫-৬ জনকে মামলার আসামি করা হয়েছে। রানা মণ্ডল উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের ঈশ্বরপুর গ্রামের আইয়ুব মণ্ডলের ছেলে।
মামলায় দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি ও ৫০ হাজার টাকার ৫০-৬০টি চেয়ার, মঞ্চের আসবাব ভাঙচুরের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।
বিষয়টি তাড়াশ থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন।
গত রোববার ধামাইচহাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সকালে বিদ্যালয়ের মাঠে আমন্ত্রিত অতিথি, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের নিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। কিন্তু বেলা ১টার দিকে তাড়াশ উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রানা মণ্ডলকে ওই অনুষ্ঠানের মঞ্চে না ডাকা হয়নি এমন অভিযোগে তিনি ও তার ১০-১২ জন সমর্থক মঞ্চে ওঠেন। এ সময় তিনি আয়োজকদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকেন। হঠাৎ করেই সমর্থকদের নিয়ে মঞ্চ ও প্যান্ডেলের চেয়ার ভাঙচুর শুরু করেন। এমনকি প্রধান শিক্ষকের কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
প্রায় ১৫ মিনিট ধরে চলে এই ভাঙচুর। এতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি পণ্ড হয়ে যায়। খবর পেয়ে তাড়াশ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেন তাড়াশ উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রানা মণ্ডল। তিনি দাবি করেন, ঘটনাস্থলে তিনি ছিলেন না।
তাড়াশ থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, থানায় মামলা রেকর্ড হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।