বগুড়ার নন্দীগ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে ময়লা ফেলা নিয়ে বিরোধে জ্যাঠাতো ভাইদের মারপিটে রবিউল ইসলাম (২১) নামে এক কলেজছাত্র খুন হয়েছে। উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের মনিনাগ গ্রামে শনিবার সকালে ঈদের নামাজ আদায় শেষে কবর জিয়ারতের পর এ ঘটনা ঘটে।
সন্ধ্যার দিকে তিনি বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে মারা যায়।
নিহত রবিউল ইসলাম বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের মনিনাগ গ্রামের আকবর হোসেনের ছেলে। সে পার্শ্ববর্তী নাটোরের সিংড়া উপজেলার কালিগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির ছাত্র।
নন্দীগ্রামের কুমিড়া পন্ডিতপুকুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোস্তাফিজুর রহমান জানান, মরদেহ ওই হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। মামলা হয়নি; আসামিরা আত্মগোপন করেছে।
পুলিশ ও স্বজনরা জানান, ঈদের নামাজ আদায় শেষে শনিবার বেলা ১০টার দিকে সে বাবার সাথে পারিবারিক গোরস্থানে দাদা ও দাদির কবর জিয়ারত করতে যায়। এ সময় তার (রবিউল) জ্যাঠাতো ভাই শফিকুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম তাদের বাবা কেতু সরদারের কবর জিয়ারত করতে আসে। বাড়ি সংলগ্ন ওই কবরস্থানে কে বা কারা ছাই ও ময়লা ফেলে।
এ ঘটনায় রবিউলের মা সাবিনা খাতুন হাসিকে দায়ী করে গালিগালাজ ও মারপিটের চেষ্টা করা হয়। রবিউল তার মাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে শফিকুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, মন্টু ও মোশাররফ লাঠিসোটা দিয়ে রবিউল ইসলামকে মারপিট করে। মাথায় আঘাত পেয়ে তিনি গুরুতর আহত হয়। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যার দিকে রবিউল মারা যায়।