আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্সের মধ্যকার ফাইনাল ম্যাচ দিয়ে আগামীকাল (১৮ ডিসেম্বর) রোববার পর্দা নামবে কাতার বিশ্বকাপের। এর আগে (১৭ ডিসেম্বর) তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ক্রোয়েশিয়া ও মরক্কো।
খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ম্যাচের প্রথমার্ধ শেষে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল ক্রোয়েশিয়া। শেষ পর্যন্ত এই ব্যবধানেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে জ্লাতকো দালিচের শিষ্যরা।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবলের পসরা সাজিয়ে বসে দুই দল। সমানে সমান লড়াই করে প্রথমার্ধে এগিয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া। ম্যাচের ৭ মিনিটেই জালের খোঁজ পান লুকা মদ্রিচরা। মদ্রিচের ফ্রি-কিকে ফাঁকায় বল পেয়ে ইভান পেরিসিচ হেড বাড়ান ছয় গজ বক্সের সামনে, আর ডাইভিং হেডে পোস্ট ঘেঁষে গোলটি করেন ডিফেন্ডার ইয়োস্কো গাভারদিওল।
আসর জুড়ে অবিশ্বাস্য সব পারফরম্যান্স উপহার দেওয়া মরক্কো পাল্টা জবাব দিতে দুই মিনিটও দেরি করেনি। ডান দিকের সাইডলাইন থেকে হাকিম জিয়াশের ফ্রি-কিক তেমন ভালো ছিল না, তবে বক্সের মুখে ডিফেন্ডার লভরো মাইয়ের হেড ফেরাতে গিয়ে উল্টো বল পাঠিয়ে দেন গোলমুখে। সেখানে হেডেই সমতা টানেন আশরাফ দারি। জাতীয় দলের হযে এই ডিফেন্ডারের এটাই প্রথম গোল।
প্রতিপক্ষের চাপের মুখে ২৮তম মিনিটে জিয়াশের সঙ্গে দারুণ বোঝাপড়ায় ভালো একটি আক্রমণ করে আশরাফ হাকিমি। ডান দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে ছয় গজ বক্সে বল বাড়ান পিএসজি ডিফেন্ডার; কিন্তু একটু বেশি এগিয়ে ছিলেন ইউসেফ এন-নেসিরি।
৪২তম মিনিটে মিসলাভ অরসিচের দারুণ নৈপুণ্যে এগিয়ে যায় ক্রোয়াটরা। ডি-বক্সের মুখে মরক্কো বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে সতীর্থের পা ঘুরে বক্সের ডান দিকে পেয়ে যান অরসিচ। প্রথম ছোঁয়ায় নেন কোনাকুনি শট, বল দূরের পোস্টের ভেতরের দিকে লেগে জালে জড়ায়।
দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধ করতে আক্রমণের ধার বাড়ায় মরক্কো। একের পর এক আক্রমণ করলেও শেষ পর্যন্ত আর জালের দেখা পায়নি তারা। সাজানো আক্রমণগুলো গোল মুখে গিয়ে আর জালের দেখা পাচ্ছিল না অ্যাটলাস সিংহরা। দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কিছু ভালো সুযোগ তৈরি করেছিল তারা। তবে বার বার ক্রোয়োশিয়ার রক্ষণে মুখ থুবড়ে পড়েছে তাদের আক্রমণ। অন্যদিকে দ্বিতীয়ার্ধে মরক্কোর গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনোর দৃঢ়তায় গোলের ব্যবধান বাড়ানো হয়নি ক্রোয়েশিয়ার।
তৃতীয় স্থান বির্ধারণী ম্যাচে জিতে একটি ব্রোঞ্জ পদক এবং ২৭ মিলিয়ন ডলার পেল ক্রোয়েশিয়া। মরক্কো দুই মিলিয়ন ডলার কম পাবে, মানে ২৫ মিলিয়ন ডলার।