দৈনিক শিক্ষা ডটকম, নওগাঁ: মর্নিং স্কুলের ছয় সুবিধা উল্লেখ করলেন নওগাঁ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. লুৎফর রহমান। গত সোমবার এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে সুবিধাগুলো উল্লেখ করেন তিনি।
সেই পোস্টে ২৪১জন সমর্থন জানিয়ে সকালে স্কুল-মাদরাসা চালানোর জন্য কমেন্ট করেছেন।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার দেয়া পোস্টের আংশিক তুলে ধরা হলো- "Morning School বা প্রাতকালীন বিদ্যালয় শব্দটির সঙ্গে আমরা সকলেই পরিচিত। বাল্যকাল থেকে দেখে আসছি গ্রীষ্মকালে প্রখর রোদের হাত থেকে শিক্ষক কর্মচারী ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকিকে এড়াতে মর্নিং স্কুলের প্রচলন ছিল। বর্তমানে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ এক বাক্যে স্বীকার করবেন তার ছাত্র জীবনে অন্তত দু’একবার পরীক্ষায় মর্নিং স্কুল চালু করার আবেদন জানিয়ে প্রধান শিক্ষক বরাবর একখানা আবেদনপত্র লিখেছেন অথবা উক্ত বিষয়ে আবেদনপত্র লেখার নিয়ম কানুনসহ পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। অতীতের সে সময়ের চেয়ে বর্তমান সময়ে এর প্রাসঙ্গিকতা, ব্যাপ্তি ও প্রয়োজনীয়তা আরো বেড়েছে। ডাবল শিফট (সরকারি- বেসরকারি) স্কুলের দিকে তাকালে এর প্রমাণ পাওয়া যায়। মর্নিং শিফটে শিক্ষার্থী ভর্তির চাহিদা অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাধ্য না হলে কোন অভিভাবক তার সন্তানকে দিবা শিফটে পড়াতে চান না। প্রতিষ্ঠান প্রধানকে এ বিষয়ে চাপের মধ্যে পড়তে হয়। কখনো কখনো আবার তদবির সামলাতে হয়।
বিগত এক দশকে দেশের রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট-এর প্রভূত উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। বিদ্যালয় সমূহের অবকাঠামো ও শ্রী বৃদ্ধি হয়েছে। স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। দু,এক কিলোমিটারের মধ্যে কোনো না কোনো প্রতিষ্ঠানের দেখা মিলে। শিক্ষার্থীরা অল্প সময়ে তার প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেন।
মর্নিং স্কুল চালু করা গেলে নিচের সুফলগুলো পাওয়া যাবে মর্মে আমি মনে করি-
১.শিক্ষার্থীদের মধ্যে সকালে ঘুম থেকে ওঠার সদ-অভ্যেস গড়ে উঠবে।
২.সকালে ঘুম থেকে উঠে সরাসরি প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার প্রবণতা সৃষ্টি হবে কোচিং বা প্রাইভেটে যাওয়ার চিন্তা মাথায় আনার সুযোগ থাকবে না।
৩.হালকা জলযোগের জন্য ২০-২৫ মিনিটের বিরতি রাখলে অনেক ক্রাইম ছাত্রদের দ্বারা সংগঠিত হবে না এবং স্কুল পালানোর প্রবণতা হ্রাস পাবে।
৪. বিকেলে শিক্ষার্থীরা মুক্ত মনে খেলাধুলা/শারীরিক কসরত করতে পারবে। এতে করে তারা তাদের স্বাস্থ্য গঠনের সুযোগ পাবেন।
৫. বিকেলে খেলাধুলা/ শারীরিক কসরত করার ফলে ফুরফুরে মেজাজে সন্ধ্যায় পড়ার টেবিলে বসতে পারবেন।
৬. আমাদের নতুন কারিকুলাম এর উদ্দেশ ও লক্ষ্য অর্জিত হবে।