বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া মাঙ্কিপক্স ভাইরাস শনাক্তকরণে সক্ষম যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টার। ভাইরাসটি শনাক্ত করার জন্য জিনোম সেন্টারে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) কর্তৃক প্রদত্ত তিন সেট প্রাইমারও রয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পেলে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস শনাক্তকরণ ও গবেষণায় ল্যাবটি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ শাখার উপ-পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো. আব্দুর রশিদের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
জিনোম সেন্টার থেকে জানানো হয়, ল্যাবটিতে সাইবার-গ্রিন পদ্ধতি ব্যবহার করে রিয়েলটাইম-পিসিআর মেশিনের মাধ্যমে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস শনাক্তকরণে সক্ষম। এছাড়াও ডিএনএ বা আরএনএ এক্সট্রাকশনের সব ধরনের সামগ্রী, রি-এজেন্ট কিট ও পর্যাপ্ত পরিমাণ যন্ত্রপাতি রয়েছে।
ল্যাবটি যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা, নড়াইল বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা হতে প্রাপ্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়। বিভিন্ন সময় ল্যাবের মান নিয়ন্ত্রণে সিডিসি, ডব্লিউএইচও ও আইইডিসিআর-এ নমুনা প্রদান করে মান যাচাই করা হয়েছে। এরপর ডব্লিউএইচও-এর প্রতিনিধি দল ল্যাব পরিদর্শন ও ল্যাবের মান যাচাই করে জিনোম সেন্টারের ফলাফল শতভাগ সঠিক মর্মে সনদ প্রদান করে। এখন পর্যন্ত যতগুলো নমুনা আইইডিসিআর-এ প্রেরণ করা হয়েছিল তার ফলাফল জিনোম সেন্টারের সাথে শতভাগ সঠিক ছিল। ল্যাবটিতে এ পর্যন্ত প্রায় এক লাখ ২৬ হাজার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ ছাড়া জিনোম সেন্টার হতে বিদেশগামী যাত্রীদের করোনা পরীক্ষা করে সনদ প্রদান করা হয়। বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তকরণ ও এর জীবন রহস্য উন্মোচন করতে সক্ষম হয় জিনোম সেন্টার। এছাড়াও বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তকরণ করতে সক্ষম হয়।
জিনোম সেন্টারের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, অতীতের অভিজ্ঞতায় বাংলাদেশে ভবিষ্যতে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস শনাক্তকরণ এবং মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের পজিটিভ নমুনা হতে সিকোয়েন্সিং করে ভাইরাসের ধরণ শনাক্তকরণেও জিনোম সেন্টারের সক্ষমতা রয়েছে।