প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর চ্যানেল উদ্বোধন ও প্রথম টার্মিনালের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন।
শনিবার (১১ নভেম্বর) বেলা পৌনে ৪টার দিকে মাতারবাড়ি টাউনশিপ মাঠে কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দিয়ে এসব প্রকল্প উদ্বোধন করেন তিনি।
এর আগে দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে খুলেছে দেশের প্রথম এবং এশিয়ার বৃহত্তম দৃষ্টিনন্দন আইকনিক রেলস্টেশন।
রেলস্টেশন চত্বরে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্পের রেল চলাচলের উদ্বোধন ও সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর কাউন্টার থেকে টিকিট কেটে রামুর পথে যাত্রা করেন তিনি। রামু থেকে হেলিকপ্টারযোগে মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়িতে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনার আগমনে সাজ সাজ রব সমুদ্রের কোলঘেঁষা প্রত্যন্ত জনপদ এই মাতারবাড়িতে। সেখানে এক জনপদের বদলে যাওয়ার সাক্ষী সাগরপাড়ে দলে দলে মিলিত হওয়া অগণিত মানুষ। প্রধানমন্ত্রীর আগমন আর জনসভা কেন্দ্র করে সকাল থেকে জনতার স্বতঃস্ফূর্ত ঢল নামে।
উপচেপড়া আবেগের বহিঃপ্রকাশ জনসভা মাঠে মানুষের বাঁধভাঙ্গা স্রোত। নজিরবিহীন গণজমায়েতে পূর্ণ মাতারবাড়ি টাউনশিপ মাঠ। দীর্ঘ প্রায় তিন দশক পর মাতারবাড়িতে আসা শেখ হাসিনাকে বরণ করে নেন সব শ্রেণিপেশা আর নানা বয়সি মানুষ। তারা বলছেন, ১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দে বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে শেখ হাসিনা যে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন মাতারবাড়িবাসীকে, তা বাস্তবে রূপ দিলেন সরকারপ্রধান হিসেবে।
মাতারবাড়িতে বিদ্যুৎ-জ্বালানির পরিকল্পিত হাব, অর্থনীতির গেমচেঞ্জার গভীর সমুদ্রবন্দরসহ সরকারের দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপের সুফল তুলে ধরে আসন্ন নির্বাচনে ব্যালটে তার প্রতিদান দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন মাতারবাড়িবাসী।