দৈনিক শিক্ষাডটকম, বশেমুরবিপ্রবি : একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতির চির প্রেরণা ও অবিস্মরণীয় একটি দিন। এটি শুধু বাংলাদেশের নয়, এখন এটি সারা বিশ্বের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দের এ দিনে বাংলা ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন আবুল বরকত, আবদুল জব্বার, আবদুস সালামসহ নাম না জানা অনেকে। সেদিন বাংলার এই সূর্য সন্তানদের রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি আমাদের মায়ের ভাষা। পৃথিবীর ইতিহাসে মাতৃভাষার জন্য রাজপথে বুকের রক্ত ঢেলে দেয়ার প্রথম নজির এটি।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও তাৎপর্য সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের ভাবনা জানতে তাদের সঙ্গে কথা বললে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী মো. শাহরিয়ার নাহিদ বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতি ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য জানানোর দিন। এই দিনে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহস, বীরত্ব এবং উত্তম কার্যক্ষমতার প্রশংসা করা হয়। এই দিনে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের যোগ্যতা এবং অপরাজিত সাহস নিয়ে আলোচনা করা হয়। এই ঐতিহাসিক দিনটি স্বাধীনতার মূল মূল্যগুলো স্মরণ করার সুযোগ করিয়ে দেয়, যা আমাদেরকে স্বাধীনতার জন্য কঠোর সংগ্রামের দিকে প্রেরণা দেয়।
লোক প্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জাফর ইকবাল বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসটি শ্রদ্ধাভরে পালন করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভাষার গুরুত্ব বোঝানো হয়। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে আমরা ভাষার গুরুত্ব উপস্থাপন করি এবং ভাষার সংরক্ষণ এবং উন্নয়নের দিকে মনোনিবেশ করি। এই দিনটি ভাষার ভিত্তিতে সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং বৈচিত্র্য সম্পর্কে জনগণের সচেতনতা বাড়ানোর জন্য একটি সুযোগ।
অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নাজমুন নাহার মুন বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস একটি গৌরবময় দিন। যা প্রতিবছর ২১ ফেব্রুয়ারি পালিত হয়। এই দিনটি বিশ্বব্যাপী ভাষা বৈষম্য নিষ্ঠা, সংরক্ষণ এবং প্রচারের জন্য প্রতিষ্ঠান করে নেয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ফাইজা রহমান বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতির পরিচয় বহন করে। তবে এটি তো এক কথায় বলার বিষয় নয়। একুশে ফেব্রুয়ারির চেতনা বিভিন্নভাবে আমাদের ভিত্তি নির্মাণ করেছে।