পটুয়াখালীর বাউফলে স্থানীয় হাফেজি মাদ্রাসার এক ছাত্র (১৩) ধর্ষণের শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর মহাখালী জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মারা যায় বলে জানিয়েছে তার পরিবার।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মো. সেলিম একই উপজেলার বড়দালিমা গ্রামের বাসিন্দা।
ওই মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক শিশুটিকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করায় সে অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে শিশুটির বাবা অভিযোগ করেছেন। তাছাড়া শিশুটির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক পালিয়ে যান।
শিশুটির বাবার অভিযোগ, মৃত্যুর আগে তার ছেলে জানিয়েছে যে প্রায় এক বছর ধরে প্রতিনিয়ত তার ছেলেকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করতো ওই শিক্ষক। এতে শিশুর পায়ুপথে ক্ষত তৈরি হয়। কিন্তু ওই শিক্ষক তাদেরকে (পরিবার) কিছু না জানিয়ে নিজেই ওষুধ কিনে দিতেন। সম্প্রতি বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদেরকে খবর দিলে ছেলেকে বাড়ি এনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে থেকে তাকে মহাখালীতে জাতীয় ক্যান্সারর গবেষণা ইনস্টিটিউটে ভর্তি করান। শুক্রবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
এদিকে, অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য নিতে তার মুঠোফোন কল দিয়ে বন্ধ পাওয়া যায়।
বাউফল থানার ওসি এ টি এম আরিচুল হক জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।