কুড়িগ্রামের চিলমারীতে মাদরাসার অফিস সহকারীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে একই মাদরাসার শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার চিলমারী সিনিয়র আলিম মাদরাসায় গত বুধবার বিকেলে ওই মাদরাসার শরীরচর্চার শিক্ষক হাসিবুল হাসান অফিস সহকারী মো. আনোয়ারুল ইসলাম জুয়েলকে অতর্কিত হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করেন। পরে তাকে চিলমারী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য জরুরি বিভাগে নেয়া হলে সেখানেও ওই শিক্ষক হাসিবুল হাসান ও তার বড় ভাই হামিদুর ইসলাম আঙ্গুর হামলা চালান।
কর্তব্যরত চিকিৎসক থানায় ফোন করলে পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হওয়া মাত্রই হামলাকারী শিক্ষক ও তার বড় ভাই পালিয়ে যান। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য আনোয়ারুল ইসলাম জুয়েলকে রংপুর মেডিক্যাল হাসাপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি সার্জারি বিভাগে ১৫ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত মো. আনোয়ারুল ইসলাম জুয়েল বলেন, অফিসের কাজ শেষ করে বারান্দায় বসে ছিলাম। এ সময় আমার থানাহাট বাজারের ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমান মোবাইল ফোনে আমাকে মেরে ফেলার জন্য হুমকি দেন করেন এবং আমার বাড়িতে গিয়ে আমার স্ত্রীকে তার ছোট ভাই হামিদুর ইসলাম আঙ্গুর হুমকি ও ভয়ভীতি দেখান। তার ভাই মাদরাসার শিক্ষক হাসিবুল হাসানকে আমাকে মেরে ফেলার জন্য বলেন। এরপর শিক্ষক হাসিবুল হাসান আমাকে মাদরাসার বারান্দা থেকে নিচে নামিয়ে আমাকে মারপিট করতে থাকেন। আমি ওই শিক্ষক ও তার ভাইদের শাস্তির দাবি করছি।
অভিযুক্ত শিক্ষক মো. হাসিবুল হাসানের সঙ্গে কথা হলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন।
হামিদুর ইসলাম আঙ্গুর বলেন, আনোয়ারুল ইসলাম জুয়েলকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলাম সেখানে কোনো মারপিটের ঘটনা ঘটেনি। তার স্ত্রীকে আমি হুমকি দিইনি।
থানাহাট বাজারের ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমানের মোবাইল ফোনে একাধিক বার ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি। এ ব্যাপারে চিলমারী সিনিয়র আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ নাজমুল হক জানান, মারামারির ঘটনাটি আমি জানি না। তবে আমি শুনেছি তিনি হঠাৎ নাকি অসুস্থ হয়েছেন।
চিলমারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজামেল হক জানান এ বিষয়ে আমি কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।