দৈনিক শিক্ষাডটকম, দিনাজপুর : সার্টিফিকেট জালিয়াতি করে চাকরিতে যোগদান, অনিয়ম-দুর্নীতি এবং সহকর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে দিনাজপুর দাইনুর ইসলামিয়া দ্বিমুখী মাদরাসা সুপার মো. মকবুল হোসেনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষকরা। সোমবার দিনাজপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগের উপর লিখিত বক্তব্য দেন দাইনুর ইসলামিয়া দ্বিমুখী মাদরাসার সহকারী সুপার মো. রিয়াজুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমাদের মাদরাসার সুপার স্বীয় স্বার্থ হাসিলের জন্য মকবুল হোসেন মাদরাসায় কর্মরত ছয়জন নিরীহ শিক্ষকের বিরুদ্ধে দিনাজপুর কোতয়ালী থানায় তার উপর সন্ত্রাসী হামলার মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রারি করছেন। ইতিপূর্ব গত বছরের ২৫ জুন তিনি স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা অভিযোগ এনে ১০৭ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়েছে, মকবুল হোসেন একজন চতুর ধুরন্ধর ও দুর্নীতিবাজ মানুষ। তিনি মাদরাসায় চাকরিকালীন সময়ে ছাত্রীর সাথে অনৈতিক কর্মকান্ডে যুক্ত থাকার দায়ে ১২ বছর সাসপেন্ড ছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে নারীঘটিত বিষয়টি নিয়ে আদালতে বিচার হয়েছে। চাকরির নিয়মানুযায়ী অনেক আগেই তার চাকরির বয়সসীমা শেষ হলেও ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে এখনো তিনি চাকরি করছে। চাকরিতে যোগদানের সময় দেয়া সার্টিফিকেটে তার জন্ম তারিখ রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন। দাখিল সনদের জন্মতারিখ অনুযায়ী গতবছরই তার চাকরির মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। আমরা এ ধরনের একজন অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত শিক্ষককে দাইনুর ইসলামিয়া দ্বিমুখী মাদরাসা পরিচালনার দায়িত্বে আর দেখতে চাই না। প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি, তাকে মাদরাসা সুপারের দায়িত্ব থেকে দ্রুত অপসারণ করা হোক। অন্যথায় শিক্ষাথী, শিক্ষক, অভিভাবক ও স্থানীয়দের সাথে নিয়ে তার বিরুদ্ধে কঠোর সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলবো।
এ বিষয়ে মাদ্রাসা সুপার মো. মকবুল হোসেন জনান, তারা যেসব তথ্য সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। তারা গত ২৭ ফেব্রুয়ারি দুপুরে দিনাজপুর সদর উপজেলার দাইনুর মোল্লাপাড়া এলাকায় আমার উপর হামলা করে। এতে আমি আহত হয়ে ১০ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকি। তারা এখন নিজেদের রক্ষা করতেই এসব মিথ্যা তথ্য দিচ্ছে।