দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক : কারামুক্ত হওয়ায় হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে এক নজর দেখতে তার বাড়ির সামনে ভিড় জমিয়েছেন ভক্ত ও অনুসারীরা।
শুক্রবার (৩ মে) রাজধানীর মোহাম্মদপুর কাদেরাবাদ হাউসিংয়ের বাড়ির সামনে ভিড় জমান ভক্ত ও অনুসারীরা।
কাদেরাবাদ হাউসিংয়ের মামুনুল হকের বাড়ির সামনে গিয়ে দেখা যায়, হাজারো নেতাকর্মী সেখানে ভিড় করে আছেন। তারা বলেন, দীর্ঘ তিন বছর আমাদের হুজুর কারাগারে ছিলেন। আজ মুক্তি পেয়েছেন। আমরা খুশি। হুজুরকে দেখতে এসেছি। তিনি বিশ্রামে আছেন। আশা করি ওনার সঙ্গে আমাদের দেখা হবে।
শাইখুল হাদিস পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হাসান জুনায়েদ বলেন, এখন মামুনুল হক বিশ্রামে আছেন। অনেক নেতাকর্মী ওনাকে দেখতে এসেছেন।
আজ বিকেলে কেরাণীগঞ্জে তিনি তার বাবা মরহুম মাওলানা আজিজুল হকের কবর জিয়ারত করবেন বলে জানা গেছে।
এর আগে, সকাল ১০টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান। কারামুক্ত হয়ে মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় আসেন মামুনুল হক। সেখানে ভক্ত ও অনুসারীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। খবর পেয়ে হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা রিসোর্টে গিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করেন মামুনুল হক।
১৫ দিন পর ১৮ এপ্রিল ওই মাদ্রাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন তার সঙ্গে রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়া নারী। যদিও ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক। এরপর ওই মাসেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অর্ধশতাধিক মামলা হয়। পরে সেসব মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর থেকে এসব মামলায় কারাগারে ছিলেন মামুনুল হক।