সফররত দুই মার্কিন কংগ্রেসম্যানের সঙ্গে বিশিষ্টজনদের বৈঠকে বাংলাদেশের আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছে কয়েকজন। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গ উঠেছিলো বলে জানিয়েছেন একজন।
রোববার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের গুলশানের বাসভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে কংগ্রেসম্যানরা আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠকে পিটার হাসসহ সফররত দুই কংগ্রেসম্যান এডওয়ার্ড কেইস ও রিচার্ড ম্যাকরমিক বৈঠকে অংশ নেন। এছাড়া মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক ও শ্রম বিষয়ক কর্মকর্তারা অংশ নেন।
এদিকে সাংবাদিকদের মধ্যে বৈঠকে অংশ নেন- প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, চ্যানেল আইয়ের তৃতীয় মাত্রার সঞ্চালক জিল্লুর রহমান, ফটো সাংবাদিক শহীদুল আলম। এনজিও কর্মকর্তাদের মধ্যে অংশ নেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান।
এছাড়া আর্টিকেল নাইন্টিনের আঞ্চলিক পরিচালক ফারুক ফয়সাল, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির নির্বাহী প্রধান সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, বিআইপিএসএস-এর প্রেসিডেন্ট অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আ ন ম মুনিরুজ্জামান, সেন্টার ফর ওয়ার্কার সলিডারিটির প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক ও শ্রমিক নেত্রী কল্পনা আখতার, প্রয়াত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্ত্রী শিরিন হক এবং তাদের সন্তান বারিশ চৌধুরীসহ প্রমুখ অংশ নেন।
চারদিনের সফরে শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকায় পৌঁছান দুই মার্কিন কংগ্রেসম্যান। এদের মধ্যে এডওয়ার্ড কেইস ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টির এবং রিচার্ড ম্যাকরমিক রিপাবলিকান পার্টির।
বৈঠক থেকে বেরিয়ে সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারা বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আনুষ্ঠানিক কোনো আলোচনা হয়নি। আমার বক্তব্য সবসময় একই- মানবাধিকার-ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এইসব সাক্ষাতে রাজনৈতিক আলাপ মুখ্য না। নানা বিষয়েই আলোচনা হয়েছে।’
আর্টিকেল নাইন্টিনের আঞ্চলিক পরিচালক ফারুক ফয়সাল বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে সুসংহত করা দরকার। এর লক্ষ্যে কী কী করা দরকার সেসব বিষয়ে কথা হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে কথা হয়েছে, তারা জিজ্ঞাসা করেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিলো কি না। আমরা বলেছি, বাংলাদেশে আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিলো এখন নেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রয়োজনীয়তা আছে কিনা সেটা রাজনৈতিক দল বলতে পারবে। আমরা সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে গেছি।’
ফটো সাংবাদিক শহীদুল আলম বলেন, ‘পিটার হাসের ভাষায়, হিরোজ অফ বাংলাদেশকে ডাকা হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। তবে ব্যক্তিগত জায়গা থেকে অনেকে কথা বলেছেন। বাংলাদেশের মানুষ নির্যাতিত, সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি- সেসব কথা উঠেছে। আমাকে যেই আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো তা নিয়ে এখনো আমি ভুগছি, আলোচনায় উঠে আসে এসব কথা।