দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক: সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ ও তার ভাই এবং পরিবারের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান থাকাকালীন নানান অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে এই নিষেধাজ্ঞা দেওযা হয়েছে। সোমবার (২০ মে) দিনগত রাতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে নিষেধাজ্ঞার এ আদেশ জারি করা হয়।
নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় তিনি দাবি করেছেন- শাস্তি পাওয়ার মতো কোনো কাজ করেননি। তিনি বলেন, যে অভিযোগ তোলা হয়েছে সেটা সঠিক নয়।
মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুরে একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই দাবি করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, আমার ওই ভাই টা ২০০২ খ্রিষ্টাব্দের পর থেকে বাংলাদেশে ছিল না। তার আগেই বিদেশে চলে গিয়েছিল। সে বিদেশে ছিল। আর আমিতো যখনকার কথা এখানে মেনশন করা হয়েছে। এটা হলে যে অনেক পরে, আমি ২০১২ সালে বিজিবিতে ছিলাম। তখনকার অভিযোগগুলো আনা হয়েছে। তখনকার অভিযোগ আনা হয়েছে যে, আমি আমার পদ পদবি ব্যবহার করে তাকে চলে যেতে সাহায্য করেছি ইত্যাদি ইত্যাদি।
আরো পড়ুন: সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
তিনি বলেন, আমার ভাই যে আগেই বিদেশে চলে গেছে। সে তো আর বাংলাদেশে আসার প্রয়োজন পড়ে নাই যে আমি তাকে সহযোগিতা করবো। আমি কোনো সহযোগিতাই করিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের বিবৃতিতে বলা হয়, উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে সম্পৃক্ততার কারণে সাবেক জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদকে পূর্বে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রধান, ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট, ফরেন অপারেশন অ্যান্ড রিলেটেড প্রোগ্রামস অ্যাপ্রোপ্রিয়েশনস অ্যাক্টের ৭০৩১ (সি) ধারার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে পররাষ্ট্র দপ্তর। এর ফলে আজিজ আহমেদ এবং তার পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য অযোগ্য হবেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আজিজ আহমেদের কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহের অবমূল্যায়ন এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান ও প্রক্রিয়ার ওপর জনগণের আস্থা কমেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, আজিজ আহমেদ তার ভাইকে বাংলাদেশে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহি এড়াতে সহযোগিতা করেন। এটি করতে গিয়ে তিনি নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন। এছাড়া অন্যায্যভাবে সামরিক খাতে কন্ট্রাক্ট পাওয়া নিশ্চিত করার জন্য তিনি তার ভাইয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন। তিনি নিজের স্বার্থের জন্য সরকারি নিয়োগের বিনিময়ে ঘুষ নিয়েছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও আইনের শাসন শক্তিশালী করতে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার পুনরায় নিশ্চিত করা হলো।