আবারো বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়েই পাঠানো হয়েছে মাসুদার স্বামীকে। শিক্ষা প্রশাসনের কেউ কেউ অবশ্য বলেন মাসুদার স্বামী স্বেচ্ছায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে গেছেন। মাসুদার স্বামী একজন বেসরকারি কলেজের শিক্ষক।
বিতর্কিত ও বিদেশে শিক্ষার্থী পাঠানোর নামে আদম পাঠানোর অভিযোগে অভিযুক্ত একটি প্রতিষ্ঠানের একটি শাখায় কয়েকদিন কথিত ‘উপাধ্যক্ষ’ পদে ক’দিন চাকরি করেছেন মাত্র। এটাই তার একমাত্র অভিজ্ঞতা। সম্পূর্ণ বেসরকারি ব্যক্তি তিনি।
মাসুদার মেয়ে ঢাকা বোর্ড থেকে জেএসসিতে জিপিএ ৪ পয়েন্ট ২৮ পেলেও পরবর্তীতে ফল পাল্টে জিপিএ ফাইভ করে নিয়েছেন মর্মে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। সাবেক এপিএস’র বিরুদ্ধে শিক্ষা সমিতি সংক্রান্ত নানাবিষয়ে ‘দরকষাকষির অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার হয়েছে ওই তদন্ত প্রতিবেদন।
জানা যায়, মাসুদার স্বামীকে হঠাৎ করেই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারি-রেজিস্টার পদে চাকরি দেওয়া হয় প্রায় তিন বছর আগে। আবার ক’দিনের মধ্যেই পদোন্নতি। আবার গত বছর ঢাকার ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে আসা হয় ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার পদে। এটাও অবৈধভাবে। ক’দিন আগে মাসুদার স্বামীকে আবারো বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ শেষে সরকারি কলেজের চাকরি নেওয়া মাসুদার সহপাঠীরা নিশ্চিত করেছেন যে, মাসুদার স্বামী বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
কর্মচারী সমিতির নেতা লোকমান মুন্সী বলেন, ঢাকা বোর্ডের কর্মকর্তা হোস্টেলে ‘মাস্তি’ চালু করেন সাবেক এপিএস।
আক্ষেপ করে লোকমান বলেন, ঐতিহ্যবাহী ঢাকা বোর্ডের মান-সম্মান ভূলুণ্ঠিত করেছেন সাবেক এপিএস ও মাসুদা বাহিনী। কোনও টেবিলে কোনও কর্মকর্তাকে পাওয়া যায় না সময়মতো।
মাসুদা ও তার স্বামীর নানা কীতির সঙ্গে পরিচিত হতে নিয়মিত চোখ রাখুন দৈনিকশিক্ষায়।