পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে চন্দকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিনের চালা উড়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। এখন খোলা আকাশের নিচে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রচণ্ড দাবদাহে এতে নানামুখী সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। তবে ঘরটি মেরামতের সহযোগিতা চেয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
জানা গেছে, উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল চন্দ্রকান্দা এলাকার শিশু-কিশোরদের প্রাথমিক শিক্ষা দেয়ার জন্য চন্দ্রকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠা করা হয়।
পরে ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ করা হয়। বর্তমানে ৭০ জন শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে পড়াশেনা করছে। স্কুলে ৪ জন শিক্ষক কর্মরত আছেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, সম্প্রতি ঘটে যাওয় ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে বিদ্যালয়টির টিনশেড ঘরের টিনের চালা পুরো উড়ে যায়। যার ফলে শিক্ষার্থীদের সাময়িক পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে প্রচণ্ড রোদের মধ্যে খোলা আকাশের নিচে।
শিক্ষার্থীরা জানায়, স্কুলঘর ঘূর্ণিঝড়ে ভেঙে গেছে। প্রচণ্ড রোদ ও ভ্যাপসা গরমে খোলা আকাশের নিচে পরীক্ষা দিতে আমাদের নানা সমস্যা হচ্ছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ের টিনসেট ঘরটি পুরোটাই ঝড়ে টিনের চালা উড়ে গেছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে মির্জাগঞ্জে মাধ্যমিক ও মাদরাসা ১৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্ষতি হয়েছে ৪১ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং সম্পূর্ণ ৩ বিদ্যালয় বিধ্বস্তসহ মোট ৪১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. রিয়াজুর হক জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে মির্জাগঞ্জে একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিধ্বস্তসহ প্রায় ৪১টি স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এরমধ্যে অধিকাংশ প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো টিনশেডের এবং অনেক পুরাতন। ১৪২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয়ের তালিকা তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্ধ পেলেই ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয়গুলোর মেরামত কাজ শুরু করা হবে।