বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৮৭তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি ও ৫৯তম বিএমএ স্পেশাল কোর্সের অফিসার ক্যাডেটদের রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামের ভাটিয়ারির বিএমএ প্যারেড গ্রাউন্ডে এ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি সামরিক চেতনাবোধকে সমুন্নত রেখে যেকোনো ধরনের চ্যালেঞ্জ নিতে সব সময় প্রস্তুত থাকতে নবীন সেনা কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই তিনি নবীন ক্যাডেটদের অভিবাদন গ্রহণ করে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। এরপর পুরস্কার পাওয়া ক্যাডেটদের হাতে স্মারক তুলে দেন তিনি।
দীর্ঘ তিন বছরের কঠোর সামরিক প্রশিক্ষণ শেষে এই মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজের মাধ্যমে ৮৭তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের সর্বমোট ২১৩ জন অফিসার ক্যাডেট এবং ৫৯তম বিএমএ স্পেশাল কোর্সের ১৪ অফিসার ক্যাডেট ও চার ট্রেইনি অফিসার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করলেন। কমিশন পাওয়া অফিসারদের মধ্যে ২০৭ পুরুষ ও ২৪ নারী কর্মকর্তা রয়েছেন।
প্রধান অতিথি বিএমএ প্যারেড গ্রাউন্ডে এসে পৌঁছালে তাকে জেনারেল অফিসার কমান্ডিং আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড, জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ২৪ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার চট্টগ্রাম এরিয়া এবং বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির কমান্ড্যান্ট অভ্যর্থনা জানান।
এবার সব বিষয়ে শ্রেষ্ঠ কৃতিত্বের জন্য সোর্ড অব অনার অর্জন করেন ব্যাটালিয়ন সিনিয়র আন্ডার অফিসার আব্দুল্লাহ আল আরাফাত। এবার ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের বিদায়ী অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী শামীম ফরহাদ, এনডিসি, পিএসসি এর মেয়ে কাজী সামিহা মেহরীন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেছেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেনাপ্রধান কমিশন পাওয়া কর্মকর্তাদের যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে দেশপ্রেমকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়ার নিদের্শনা দেন। প্রত্যেক সেনাসদস্যের সাহসিকতার সঙ্গে সব পরিস্থিতি মোকাবিলা ও মাতৃভূমির স্বাধীনতা রক্ষাই প্রথম এবং প্রধান কাজ বলে উল্লেখ করেন তিনি।