রাজধানীর মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক ছাত্রীকে জোরপূর্বক বিয়ে ও ধর্ষণের ঘটনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীর বিরুদ্ধে করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নতুন তারিখ আগামী ১৪ নভেম্বর।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিল সুমু চৌধুরী এই তারিখ ধার্য করেন।
আজ বৃহস্পতিবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু গুলশান থানা-পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল না করায় আদালত নতুন তারিখ ধার্য করেন।
গত ১ আগস্ট ওই ছাত্রীর বাবা ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এ অভিযোগ দায়ের করেন। ট্রাইবুনাল গুলশান থানার ওসিকে অভিযোগটিকে এজাহার হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দেন।
প্রলোভন ও জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলাটিতে মুশতাককে কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদী সহযোগিতা করেন বলে বাদী উল্লেখ করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বাদীর মেয়ে মতিঝিল আইডিয়ালের একাদশ শ্রেণীতে অধ্যয়নরত। আসামি মুশতাক বিভিন্ন অজুহাতে তাকে ক্লাস থেকে অধ্যক্ষের কক্ষে ডেকে আনত এবং বিভিন্নভাবে প্রলুব্ধ করত। একপর্যায়ে আসামি মুশতাক ছাত্রীকে কু-প্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হওয়ায় ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে করবেন এবং তাকে ও তার পরিবারকে ঢাকা ছাড়া করবেন বলে হুমকি দেন।
মামলার বাদী আরও অভিযোগ করেন, মুশতাকের এরকম আচরণের বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন বাদী। অধ্যক্ষ ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে আসামি মুশতাককে তার কক্ষে নিয়ে আসেন এবং ওই সময়ে ছাত্রীকেও ক্লাস থেকে ডেকে এনে কক্ষের দরজা বন্ধ করে আসামিকে সময় ও সঙ্গ দিতে বলেন। এ বিষয়ে অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদী কাছে প্রতিকার চাইতে গেলেও কোনো সহযোগিতা পাননি এবং অধ্যক্ষ আসামি মুশতাককে অনৈতিক কাজে সাহায্য করতে থাকেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, উপায় না পেয়ে গত ১২ জুন বাদী তার মেয়েকে নিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়িতে গেলে সেখান থেকে আসামি মুশতাক তার লোকজন দিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যান। এরপর বাদী জানতে পারেন, আসামি একেক দিন একেক স্থানে রেখে ছাত্রীকে অনৈতিক কাজে বাধ্য করে যৌন নিপীড়ন করেন।