জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনিরো বলেছেন, দ্রুতগতির মেট্রোরেল সেবার মধ্য দিয়ে ঢাকার চেহারা বদলে যাবে। বাংলাদেশ এখন এশিয়ায় দ্রুত বর্ধনশীল দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। একই সঙ্গে বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশ।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় উত্তরার দিয়াবাড়ি মাঠে দেশের প্রথম মেট্রোরেল উদ্বোধন অনুষ্ঠানের সুধী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ইওয়ামা কিমিনিরো বলেন, আমরা সত্যিই গর্বিত যে জাপান কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশের ইতিবাচক উন্নয়নের সাক্ষী হয়েছে। রাষ্ট্রদূত হিসেবে এই উন্নয়নের সঙ্গে চলতে চাই। দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে কাজ করব।
জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, সত্তর দশকের শুরু থেকে জাপান বাংলাদেশকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহায়তা করে আসছে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের বহু অর্জনের সঙ্গে জাপান যুক্ত রয়েছে। আমার বিশ্বাস ২০৪১ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন বাংলাদেশ দেখছে তাও পূর্ণতা পাবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য নিরলস কাজ করছে। বাংলাদেশ এখন এশিয়ায় দ্রুত বর্ধনশীল দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। একই সঙ্গে বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশ। ঢাকার সাধারণ মানুষের নিত্যদিনের চলাচলে এই সংযোজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এটি একটি নিরাপদ পরিবহন, বিশেষ করে নারীদের জন্য।
উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার পথে মেট্রোরেল লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। বুধবার উদ্বোধন হয় উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশের, যার দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।
এর আগে ছোটবোন শেখ রেহানাকে নিয়ে মেট্রোরেল উদ্বোধনে উত্তরার দিয়াবাড়িতে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৫নং সেক্টরের খেলার মাঠে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তারা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিনুল্লা নুরী, মেট্রোরেল কোম্পানির এমডি এম এন সিদ্দিকসহ সরকারের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।