সংকট থাকলেও দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ ছিল মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পদে নিয়োগ। ফলে চাহিদা থাকলেও এই পদে জনবলের রয়েছে তীব্র সংকট। মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগের পরীক্ষার ব্যয়ভার বহনে সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয় অর্থ ছাড় দিয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রস্তাবনার আলোকে ২ কোটি ৩৬ লাখ ৫৬ হাজার ৬৬৩ টাকা ছাড় দেয়া হয়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ ছাড়ের বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বেকার এন্ড প্রাইভেট সার্ভিসেস মেডিকেল টেকনোলজিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, এই অর্থ ছাড়ের পরে মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের নিয়োগের ক্ষেত্রে যে প্রতিবন্ধকতা ছিল তা দূর হবে। পাশাপাশি মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের নিয়োগ দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, এই নিয়োগ বাস্তবায়ন হলে একদিকে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রæতি যেমন বাস্তবায়িত হবে অপরদিকে জনগণের চিকিৎসা সেবা সুনিশ্চিত হবে।
প্রসঙ্গত; ২০০৮ সালের পর মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পদে আর কোনো নিয়োগ হয়নি। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা ছিল কোর্টের স্থগিতাদেশ। করোনা মহামারি শুরু হলে নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্থবিরতা কাটে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩ হাজার টেকনোলজিস্ট নিয়োগের নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী ২০২০ সালের ২৯ জুন ২ হাজার ৬৮৯টি পদে (মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ৮৮৯টি, মেডিকেল টেকনিশিয়ান ১ হাজার ৬৫০টি, ১৫০টি কার্ডিওগ্রাফার) নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এসব পদে লিখিত পরীক্ষা, মৌখিক পরীক্ষা হয় ২০২১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু পরীক্ষায় অনিয়ম ও ঘুষের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সেই নিয়োগ বাতিল করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এরপর গত ২৮ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নতুন এক অফিস নির্দেশনায় জানায়, ২০ সেপ্টেম্বরের নির্দেশনার আলোকে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, টেকনিশিয়ান ও কার্ডিওগ্রাফার পদে চলমান জনবল নিয়োগের কার্যক্রম বাতিল করা হলো। পুনরায় নতুন নিয়োগে স্বল্প সময়ের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দ্রুত নিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে।
ইতোপূর্বে যারা আবেদন করেছেন, তাদের নতুনভাবে আবেদনের প্রয়োজন নেই; তারা নতুন নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। পরে সে নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল চেয়ে আইনি নোটিস পাঠানো হয়। এই প্রেক্ষিতে লিখিত পরীক্ষার অর্থ ছাড়ের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অনুরোধ করলে ১১ ডিসেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয় অর্থ ছাড় করে।