এমবিবিএস কোর্সে ভর্তির নামে শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এসএম আনিসের বিরুদ্ধে। আর আনিসের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সাবেক অতিরিক্ত সচিব নিতিশ চন্দ্র সরকারের। এরই মধ্যে আনিসের সঙ্গে নিতিশের কথোপকথনের রেকর্ড পেয়েছেন গোয়েন্দারা।
জানা যায়, এক শিক্ষার্থীকে বেসরকারি মেডিক্যাল ভর্তি করিয়ে দেওয়ার কথা বলে আনিসের কাছ থেকে ছয় লাখ টাকা নেন নিতিশ। গোয়েন্দারা আনিসকে বিশদভাবে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি সাবেক অতিরিক্ত সচিবের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলোও তদন্ত করে দেখছেন।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) এক কর্মকর্তা জানান, এখন পর্যন্ত প্রতারক আনিসের ঢাকায় একটি ফ্ল্যাট ও দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সন্ধান পাওয়া গেছে। ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন, মেডিক্যাল ভর্তি করিয়ে দেওয়ার কথা বলে প্রতারণায় জড়িতদের সবাইকে শনাক্ত করা হবে। অবসরে থাকা এক কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতা গভীরভাবে তদন্ত করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ জামাল বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসে নয়, অবৈধভাবে বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নিতিশ চন্দ্র সরকারের নাম এসেছে। বর্তমানে তিনি অবসর প্রস্তুতকালীন ছুটি বা এলপিআরে আছেন। এ বিষয়ে এখনও কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি। বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রয়েছে। যথাযথ প্রমাণ পেলে অবশ্যই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেবে।
প্রশ্ন ফাঁসের নামে প্রতারণার অভিযোগে শুক্রবার রাজধানীর মণিপুরিপাড়া থেকে এসএম আনিসকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। এ সময় তাঁর কাছ থেকে পূর্ববর্তী এমবিবিএস পরীক্ষার প্রবেশপত্র, ব্যাংকের শতাধিক চেক, ফাঁকা জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পসহ বেশি কিছু জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়।