স্নাতকোত্তর মেডিক্যাল শিক্ষায় কোর্স আউট (বিশেষজ্ঞ ডাক্তার হওয়ার কোর্স) প্রথা বাতিল করা হয়েছে। এতে করে পরীক্ষার্থীদের সাথে পরীক্ষকের ব্যক্তিগত রেষারেষি, পছন্দ বা অপছন্দ এবং ভালো লাগা না লাগার বিতর্কের অবসান হলো।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ডা: মো: জিল্লুর রহমান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এ তথ্য জানা যায়।
আদেশে বলা হয়েছে, ‘গত ৭২তম সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুসারে কোর্স আউট প্রথা বাতিল করা হয়েছে। সব যোগ্য প্রার্থী জানুয়ারি ২০২৫ সেশনে জরিমানা ব্যতীত পরীক্ষার নির্ধারিত ফি প্রদান করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।’
উল্লেখ্য স্নাতকোত্তর শিক্ষায় এমডি ও এমএম কোর্স শুধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ই তার স্নাতকোত্তর পরীক্ষার্থীসহ অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজের পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিয়ে থাকে এবং সার্টিফিকেট প্রদান করে থাকে।
এর আগে দীর্ঘদিন ধরে স্নাতকোত্তর কোর্সের ডাক্তাররা কোর্স আউট প্রথা বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। কারণ এমনিতেই বিশেষজ্ঞ তৈরির এই পরীক্ষায় খুব কম ডাক্তার পাস করেন। কিন্তু স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী এবং পাস করেছেন এমন অনেক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জানিয়েছেন, এই পরীক্ষায় পরীক্ষকরা খুব কম পরীক্ষার্থী পাস করান। বরং বলা চলে তারা পাস করাতে চান না। যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও পাস করানো হয়নি অতীতে এমন অনেক উদাহরণ রয়েছে। বিশ্বের অনেক দেশে কোর্স আউট প্রথা নেই। আমাদের দেশে এই প্রথা রেখে অনেক যোগ্য ডাক্তারকে বিশেষজ্ঞ হতে, শিক্ষক হতে বাধা দেয়া হয়েছে বলে চিকিৎসকরা অভিযোগ করেছেন।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনের অবসানের পর এমডি ও এমএস স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় কোর্স আউট প্রথা বাতিলের আন্দোলন শুরু করেন ডাক্তাররা। ৫ আগস্ট আন্দোলনের পর বৈষম্যবিরোধী চিকিৎসকরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব নেয়ার পর বিদেশের উদাহরণকে সামনে রেখে এবং ডাক্তারদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে স্নাতকোত্তর মেডিক্যাল শিক্ষায় কোর্স আউট প্রথা বাতিলের পক্ষে মতামত প্রদান করেন।