গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের প্রক্রিয়া নিয়ে জারি করা রুল পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এ রায় ঘোষণা করেন।
তবে রায়ের পর্যবেক্ষণে কী রয়েছে তা জানা যায়নি। পুর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর তা জানা যাবে বলে জানিয়েছেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ এম রাসেল চৌধুরী। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম কে রহমান ও ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন। তাদের সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সাজ্জাদ-উল ইসলাম।
রায়ের পর সাজ্জাদ-উল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আদালত রিট মামলাটির নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন। রায়ে আদালত পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের ক্ষেত্রে যথাযথ আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি। পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে।
২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ আগস্ট গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া জাহাঙ্গীর আলম পদ ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন। রিটে তাকে সাময়িক বরখাস্তের আইনগত বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। ব্যারিস্টার মশিউর রহমান সবুজ জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে এ রিট করেন।
একই বছরের ২৩ আগস্ট গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ নয়, জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগে মেয়র জাহাঙ্গীরকে ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ১৯ নভেম্বর দল থেকে বহিস্কার করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে দেশের আটটি জেলায় মামলা হয়। পরে ২৫ নভেম্বর তাকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।