কতিপয় মেয়াদোত্তীর্ণ নিবন্ধন সনদধারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পাওয়ার দাবিতে ১৫ জুলাই বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কতৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) অফিসের সামনে মানববন্ধন করবেন। সোমবার (৮ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন কর্মসূচির ঘোষণা দেন মেয়াদোত্তীর্ণ নিবন্ধন সনদধারীরা । তারা সবাই বেসরকারি শিক্ষক পদে নিয়োগের প্রার্থী হওয়ার আবেদন করার জন্য নিবন্ধন পরীক্ষায় (১ম থেকে ১২তম) উত্তীর্ণ হয়ে প্রাক-যোগ্যতার সনদ পাওয়া। তাদের সবারই বেসরকারি শিক্ষক পদে নিয়োগের বয়স পেরিয়ে গেছে অনেক আগে। তাদের সনদেরও মেয়াদ নেই।
আজ যারা সংবাদ সম্মেলন করেছেন তারা এর আগে শিক্ষকতার পদে নিয়োগ পাওয়ার জন্য এনটিআরসিএর কর্তাদের পা ধরে হাউমাউ করে কান্না করে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হন। আজ তারাই নিজেদেরকে ‘নিয়োগবঞ্চিত’ দাবি করে শর্তহীনভাবে সরাসরি শিক্ষক পদে নিয়োগের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপও কামনা করেন। দাবি আদায় না হলে ১৫জুলাই থেকে এনটিআরসিএর সামনে থেকে কঠোর কর্মসূচিরও ঘোষণা দেন।
উল্লেখ্য, শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দুই রকম। একটা প্রাক-যোগ্যতা নির্ধারনী। মানে ওই সনদ থাকলে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলে শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য আবেদন করতে পারতেন। আর চূড়ান্ত নিয়োগের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কমিটির নেয়া লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হতো। ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে শুরু হয়ে ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবরে গেজেট জারির আগ পর্যযন্ত শিক্ষক নিবন্ধনের প্রাক-যোগ্যতা নির্ধারনী সনদ দেয়া হতো। সেই পরীক্ষাগুলো ১ম থেকে ১২তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা নামে পরিচিত।
আর ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবর থেকে এন্ট্রিলেভেলে শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য চূড়ান্ত প্রার্থী বাছাইয়ের দায়িত্ব দেয়া হয় এনটিআরসিএকে। অনেকটা পিএসসির আদলে।