দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক: চীনের শর্ট–ফর্ম ভিডিও অ্যাপ টিকটক নিয়ে এবার বেশ ঝামেলাতেই পড়েছেন মার্কিন নাগরিকেরা। জনপ্রিয় এই অ্যাপটি ব্যবহার করার আগে চাওয়া হচ্ছে মোবাইলের পাসকোড। তবে সবার কাছে এই কোড চাওয়া হচ্ছে না। বেছে বেছে আইফোনের কিছু ইউজারকে দেওয়া হচ্ছে এই বার্তা।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম রেড্ডিটে পোস্ট করেছেন কয়েকজন আইফোন ইউজার। তারা বলছেন, টিকটকে প্রবেশ করলেই এই কোড চাওয়া হচ্ছে। কোড না দিলে অ্যাপটি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ফোনঅ্যারেনা।
প্রযুক্তিভিত্তিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যম গ্যাজেটস নাও বলছে, আগেও টিকটকের বিরুদ্ধে তথ্যচুরির অভিযোগ উঠে। গত আগস্টে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আইওএসের সব তথ্য নিয়ে নিতে সক্ষম চীনা অ্যাপ টিকটক। আইফোনের এই তথ্য জানার পর ব্যবহারকারীরা সংকটে পড়েছেন। তবে এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি টিকটক।
গত নভেম্বরে এশিয়ার দেশ নেপালে নিষিদ্ধ করা হয় চীনের ভিডিও হোস্টিং অ্যাপ টিকটক। সামাজিক সম্প্রীতি নষ্টের অভিযোগ এনে টিকটক নিষিদ্ধ করে দেশটির সরকার। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সম্পর্কিত আইন করার পর এই প্রথম এর প্রয়োগ করল দেশটি।
চীনের বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন টিকটক অ্যাপটি এর আগে ভারতসহ বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশ নিষিদ্ধ করে। এ বছরই আমেরিকার মন্টানা অঙ্গরাজ্যের কর্তৃপক্ষও অ্যাপটি নিষিদ্ধ করেছে।
নেপালের যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রেখা শর্মা বিবিসি নেপালিকে জানান, টিকটক ক্ষতিকর কনটেন্ট সমাজে ছড়িয়ে দেয়। এ কারণে নিষিদ্ধ করা হলো অ্যাপটি। আর এই নিষেধাজ্ঞা এখন থেকেই কার্যকর হবে। এ ব্যাপারে নেপালের টেলিকম কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
তবে এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে সমালোচনা করছেন সরকারেরই এক এমপি। গগণ থাপা নামের ওই এমপি সরকারি জোটের একটি দলের নেতা। তিনি বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আগে সরকারের আরও ভাবা উচিত। এর মাধ্যমে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করা হলো।
টিকটকের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের তথ্য চুরি করে নিচ্ছে চীনা সরকার—এমন শঙ্কা থেকেই মূলত কয়েকটি দেশে এই অ্যাপ নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। তবে এর মালিকানায় থাকা প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্স এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।