দেশে মোবাইল ফোন ব্যবহারে অনেক পিছিয়ে নারীরা। স্থানীয় মোবাইল ফোন অপারেটরদের তথ্য বলছে, দেশে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর মধ্যে মাত্র ২৭ থেকে ২৮ শতাংশ নারী। কেবল বাংলাদেশে নয়, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে মোবাইল ফোন ব্যবহারে পুরুষের তুলনায় নারীদের পিছিয়ে থাকার কথা বলছে দেশি ও আন্তর্জাতিক গবেষণা।
মোবাইল ফোন অপারেটরদের বৈশ্বিক সংগঠন জিএসএম এর ‘এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মোবাইল ফোন অর্থনীতি’ প্রতিবেদন বলছে, বাংলাদেশে পুরুষের তুলনায় ২৩ শতাংশ কম নারীর নিজস্ব মোবাইল ফোন আছে। শিক্ষা ও আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকার পাশাপাশি তথ্যের নিরাপত্তার ঝুঁকি থাকায় নারী মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে না, এমন অভিমত টেলিকম খাত সংশ্লিষ্টদের।
রবির পাবলিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটির ব্যবস্থাপক নাদিয়া খন্দকার বলেন, তাদেরকে সিম বা ডিভাইস দিয়ে এলে হবে না, এক্ষেত্রে একসময় সে হয়তো ব্যবহার না-ও করতে পারে। ডিভাইসকে কীভাবে ইতিবাচককভাবে ব্যবহার করবে এ নিয়ে পরিকল্পনা থাকতে হবে।
এদিকে, প্রযুক্তিতে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করতে চায় বেসরকারি তিন মোবাইল ফোন অপারেটর। চলতি মাসে এক যৌথ ঘোষণায় জানায়, ২০২৬ খ্রিষ্টাব্দে মধ্যে নারী মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২৮ থেকে ৩০-৩২ শতাংশে উন্নীত করতে চায় তারা।
অ্যামটবের মহাসচিব লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ জুলফিকার বলেন, প্রত্যেক অপারেটরের নিজস্ব উদ্যোগ আছে। এ সকল ইস্যুর জন্য সবক্ষেত্রে পলিসি সহায়তা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। প্রণোদনা নয়, সরকারের পক্ষ থেকে যদি জিরো ডিজিটাল ডিভাইডকে টার্গেট করে আমাদের পলিসিগুলো তৈরি করা হয়, তাহলে এর সুফল প্রান্তিক পর্যায়ে গিয়ে মহিলাদের জন্য অবশ্যই উপযোগী ইন্সট্রুমেন্ট হিসেবে কাজ করবে।
মোবাইল ফোন ব্যবহারে পিছিয়ে থাকায় ইন্টারনেট ব্যবহারেও পিছিয়ে আছে নারীরা। ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে পরিসংখ্যান ব্যুারোর সবশেষ জরিপ বলছে, পুরুষের চেয়ে প্রায় ১৩ শতাংশ কম নারী ইন্টারনেট ব্যবহার করেন।