ঢাকার আদালতের এক ম্যাজিস্ট্রেটকে মারধরের ঘটনায় হাতিরঝিল থানায় করা মামলায় একজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। কারাগারে যাওয়া আসামি হলেন মো. আলী।
রোববার তাকে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে পুলিশ। আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিন তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন এবং জামিন বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ২৭ জুন দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ১৪ জুন ১৮ নম্বর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অফিস সহায়ক (ওমেদার) হুমায়ুন কবির হাতিরঝিল থানায় বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলার এজাহারে হুমায়ুন কবির বলেন, ৭ জুন আমার স্যার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শান্ত ইসলাম মল্লিকের সঙ্গে প্রাইভেটকারে হাতিরঝিল হয়ে টাঙ্গাইল যাওয়ার পথে মধুবাগ ব্রিজের ওপর একজন মোটরসাইকেল আরোহী হঠাৎ আমাদের গাড়িতে ধাক্কা দেন। আমি ও আমার স্যার গাড়ি থেকে নেমে অজ্ঞাতনামা মোটরসাইকেল আরোহীকে থামাই। তাকে ধাক্কা দেওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি আমাদের সঙ্গে তর্ক শুরু করেন।
একপর্যায়ে আমি ও আমার স্যার সেখান থেকে চলে যাওয়ার চেষ্টা করি। তখন ওই মোটরসাইকেল আরোহী আমাদের গতিরোধ করেন। এ সময় একটি প্রাইভেটকারের (ঢাকা মেট্রো-গ-১৬-২৩৩২) চালক তার গাড়ি আমাদের গাড়ির পেছনে থামান। এ সময় গাড়ি থেকে আসামি মো. আলী (৫৩) মোটরসাইকেল আরোহীর সঙ্গে যোগ দিয়ে আমার ও আমার স্যারের সঙ্গে তর্ক শুরু করেন।
আমার স্যার তখন তার পরিচয় দেন। এতে আসামিরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে কোনো কারণ ছাড়াই আমার স্যারকে ধাক্কা দেন। আমি তাকে ধাক্কা দেওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করলে আসামি আলী ও অজ্ঞাতনামা মোটরসাইকেল চালক আমার স্যারকে চর থাপ্পড় মারতে শুরু করেন। একপর্যায়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার স্যারের গলা চেপে ধরেন। আমি বাধা দিলে মোটরসাইকেল আরোহী আমাকেও কিল ঘুসি মেরে আমার মাথা, ঘাড় ও পিঠে জখম করেন। আমাদের গাড়ির লুকিং গ্লাস ভেঙে ফেলেন এবং বিভিন্ন হুমকি দেন।
পরে আমরা ঘটনাস্থল থেকে কোনো রকম পালিয়ে আসি। আসার সময় আমরা আসামি মো. আলীর গাড়ি ও মোটরসাইকেলের ছবি তুলতে সক্ষম হই। গাড়ির নাম্বার থেকে প্রাইভেটকার চালকের পরিচয় বের করতে সক্ষম হই। তবে অজ্ঞাতনামা আসামি মোটরসাইকেল চালকের নাম ও ঠিকানা বের করতে পারিনি। তবে ছবির মাধ্যমে মোটরসাইকেলের রেজিঃ নং-ঢাকা মেট্রো-ল-২২-৮৪৯০ শনাক্ত করতে সক্ষম হই।