যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) নানা আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উদযাপন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার যবিপ্রবি শেখ হাসিনা ছাত্রী হলের উদ্যোগে কেক কাটার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনার ম্যুরালের সামনে কেক কাটেন এবং গাছের চারা রোপণ করেন। পরে শেখ হাসিনা হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উন্নতমানের খাবার বিতরণ করা হয়।
এর আগে শেখ হাসিনা ছাত্রী হলের উদ্যোগে আয়োজিত বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার সম্মাননা তুলে দেন যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন। পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শেষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, আমার সামনে শত শেখ হাসিনা উপস্থিত আছে। আমি বিশ্বাস করি, শেখ হাসিনা থাকলে যেভাবে আমাদের সাহস বাড়ে, শেখ হাসিনা থাকলে যেভাবে মানচিত্রকে হায়েনারা খামচিয়ে ছিঁড়ে ফেলতে পারে না, এই শতশত শেখ হাসিনা যখন শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়াবে, তখন এই দেশে কোনো হায়েনার দল থাকবে না। শেখ হাসিনার ৭৭ তম জন্মদিন, বাংলাদেশের মানুষের জন্য খুশির দিন। কারণ এ দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জন্মগ্রহণ করেন। এ দিন না আসলে ১৫ আগস্টের সঙ্গেসঙ্গে বাংলাদেশের সমাপ্ত হতো এবং বাংলাদেশ একটি অকার্যকর রাষ্ট্রের দিকে ধাবিত হতো পাকিস্তানের মতো। তাঁর হাত ধরেই বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা তাঁর দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।
শেখ হাসিনা ছাত্রী হলের প্রভোস্ট ফাতেমা-তুজ-জোহরার সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে যবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা, সাধারণ সম্পাদক তানভীর ফয়সাল, শেখ হাসিনা ছাত্রী হলের সহকারী প্রভোস্ট ইসরাত জাহান, কানিজ ফাতেমা কানন, হুমাইরা আঞ্জুমী, নাজিয়া নওশাদ লিনা, শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নাজমুস সাকিব, সাংগাঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম হৃদয়, সাংবাদিক সমিতির সভাপতি জহুরুল ইসলামসহ আরো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের উদ্যোগে তাঁর দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।