যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ সমাবর্তন আগামীকাল শনিবার। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে সকাল পৌনে ১০টা থেকে সমাবর্তনের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। ইতিমধ্যে সমাবর্তনের সব প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়েছে। সমাবর্তনকে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
চতুর্থ সমাবর্তনে স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল ও পিএইচডি পর্যায়ে এক হাজার ৮৩৪ জন গ্রাজুয়েট অংশগ্রহণ করবেন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অতিথি হয়ে আসবেন দুই হাজার ৬১ জন। বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে ইতিমধ্যে অনেক গ্রাজুয়েট ক্যাম্পাসে এসে পৌছেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবনের সামনে ছবি তুলছেন। এবারের সমাবর্তনে বিভিন্ন শ্রেণিতে ৫৭ জন স্বর্ণপদক ও অ্যাওয়ার্ড পাবেন। এরমধ্যে ২২ জন গ্রাজুয়েট চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক, ২৬ জন ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড এবং ৯ জন ডিন অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন।
সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হিসেবে সভাপতিত্ব করবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির সেক্রেটারি ও স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. হাসিনা খান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেবেন যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্যরা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, সামরিক-বেসামরিক কমকর্তারা ও আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত থাকবেন বলে মনে করা হচ্ছে। সমাবর্তনকে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে।
সমাবর্তন আনুষ্ঠানিকভাবে সকাল পৌনে ১০টায় শুরু হলেও গ্রাজুয়েট এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা সকাল ১০টা থেকেই অনুষ্ঠালস্থলে আসনগ্রহণ করতে পারবেন। যবিপ্রবির রিজেন্ট বোর্ড ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য এবং শিক্ষকদের সমন্বয়ে শোভাযাত্রা সহকারে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশের পরপরই সমাবর্তনের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।
বিকেলে অনুষ্ঠানে জনপ্রিয় ব্যান্ড মেঘদল, যবিপ্রবির জলতরঙ্গ এবং স্থানীয় জনপ্রিয় শিল্পীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
সমাবর্তনের প্রস্তুতির বিষয়ে উপাচার্য ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, বিভিন্ন প্রকারের দেশি-বিদেশি ফুলে পুরো ক্যাম্পাস সাজানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক, সড়কসমূহে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। সফলভাবে সমাবর্তন অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে সমাবর্তন মঞ্চ ও প্যান্ডেল তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। ক্যাম্পাসের প্রধান সড়ক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবন, স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবন, মাইকেল মুধসূদন দত্ত লাইব্রেরি কাম একাডেমিক ভবনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে বাহারি ফুলের পসরা সাজানো হয়েছে। বর্তমানে নবীন-প্রবীন শিক্ষার্থীদের মিলনমেলায় মুখরিত হচ্ছে যবিপ্রবি প্রাঙ্গণ।