দৈনিক শিক্ষাডটকম, যশোর : যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতরা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
আজ শনিবার যবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের ৯৬তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে সংঘর্ষের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের সুপারিশ রিজেন্ট বোর্ডের সভায় প্রেরণ করে। কমিটির সুপারিশ পর্যালোচনা ও ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আব্দুর রশিদ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
গত ১৪ অক্টোবর ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে কয়েকজন আহত হন। এই ঘটনার জের ধরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত করেছিল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। পরবর্তীতে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। ওই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে অবশেষে ব্যবস্থা গ্রহণ করল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
রিজেন্ট বোর্ডের সভার শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক ঘটনাসমূহের বিষয়ে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন লিখিত বক্তব্য দেন। রিজেন্ট বোর্ডের সদস্যদের অনেকে ভার্চ্যুয়াল এবং সশরীরে সভায় অংশ নেন।
রিজেন্ট বোর্ডের সভায়, গত ১৪ অক্টোবর বিএমই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মারধরের ঘটনায় গণিত বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সোহেল রানাকে আজীবন বহিষ্কার, তানভীর আহমেদ আবিরকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। একই দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে মারামারির ঘটনায় গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী সোহেল রানা ও একই বিভাগের শিক্ষার্থী রেদওয়ান আহমেদ রাফিকে আজীবন, ফার্মেসি বিভাগের রাইসুল হক রানা, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের মো. বেলাল হোসেনকে দুই বছরের জন্য এবং কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ শোয়েব, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ফয়সাল আহমেদ রকিকে এক বছরের জন্য বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
যবিপ্রবির উপাচার্য ও রিজেন্ট বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় যোগদেন যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনিছুর রহমান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) মো. আব্দুল মতিন, যুগ্ম সচিব সৈয়দা নওয়ারা জাহান, যশোরের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. কাওছার উদ্দিন আহম্মদ, আইসিসিডিআরবি এর বায়োসেফটি অ্যান্ড বিএসএল-৩ ল্যাবরেটরির প্রধান ড. আসাদুলগনি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. কৌশিক সাহা, ইউজিসি অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. এম. এ. রশীদ, যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আহসান হাবীব, যবিপ্রবির অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদ, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিব, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস (এআইএস) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মেহেদী হাসান, সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মর্জিনা আক্তার, যশোর সরকারি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম আহসান হাবীব, রিজেন্ট বোর্ডের সচিব ও রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব প্রমুখ।