ডা. দীপু মনি চাঁদপুর-৩ (সদর ও হাইমচর) আসনের সংসদ সদস্য। তিনি বর্তমানে সরকারের শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি এই আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হয়েছেন। গেল ৫ বছরে তার বার্ষিক আয় বেড়েছে তিনগুণ। পাশাপাশি স্থাবর সম্পদ বেড়েছে পাঁচগুণ ও অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। নির্বাচন কমিশনে ২০১৮ ও ২০২৩ সালে জমা দেওয়া তার হলফনামা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এই নেতা ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে তার নির্বাচনী হলফনামায় উল্লেখ করেন শেয়ার, সঞ্চয়পত্র, পেশা, এমপি হিসেবে পারিতোষিক ও ভাতাদি, বিভিন্ন উপহার ও বিদেশ সফরে প্রাপ্ত ভাতাদি থেকে তার বার্ষিক আয় ছিল ৪০ লাখ, ৪৯ হাজার ৩০২ টাকা। যা ২০২৩ সালের হলফনামায় দেখানো হয় ১ কোটি ২৩ লাখ ১০ হাজার ২৭০ টাকা। অর্থাৎ গেল ৫ বছরে তার বার্ষিক আয় বাড়ে তিনগুণ।
এ ছাড়া অস্থাবর সম্পদ হিসেবে তিনি ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের হলফনামায় উল্লেখ করেনÑ নগদ ১২ লাখ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ৮ লাখ ২ হাজার ৮৮৫ টাকা, পোস্টাল, সেভিংস, সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্রে বা স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ ৭০ লাখ টাকা, স্বর্ণ ৯ লাখ টাকা, একটি পাজেরো গাড়ি, যার মূল্য ৪৬ লাখ ৫৭ হাজার ৬২২ টাকা ও আসবাবপত্র বাবদ ১ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে ১ কোটি ৪৬ লাখ ৬০ হাজার ৫০৭ টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে।
বিপরীতে এবার ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের নির্বাচনী হলফনামায় তিনি ২ কোটি ৮৭ লাখ ৭২ হাজার ৪৪১ টাকার অস্থাবর সম্পদের বিবরণ তুলে ধরেন। এর মধ্যে নগদ ৬৬ লাখ ৮৯ হাজার ২৯৮ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ৬ লাখ ৬০ হাজার ৭৮৬ টাকা, পোস্টাল, সেভিংস, সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্রে বা স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ ১ কোটি ৪৪ লাখ ২২ হাজার ৩৫৭ টাকা, স্বর্ণ ৯ লাখ টাকা, একটি টয়েটা গাড়ি, যার মূল্য ৬০ লাখ টাকা ও আসবাবপত্র বাবদ ১ লাখ টাকা।
হলফনামায় স্থাবর সম্পদ হিসেবে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের তিনি উল্লেখ করেন, অকৃষি জমি ১০ কাঠা, যার মূল্য দেখিয়েছেন ৩০ লাখ টাকা। এ ছাড়া ৩৫ লাখ টাকা মূল্যের দুটি ফ্ল্যাট আছে বলে তুলে ধরেন। সব মিলিয়ে ৬৫ লাখ টাকার স্থাবর সম্পদের কথা ২০১৮ সালের হলফনামায় উল্লেখ করেন তিনি।
সম্প্রতি আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে দেওয়া হলফনামার তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে দীপু মনির স্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৩ কোটি ৯৪ লাখ ১ হাজার ৯৫৭ টাকা। এর মধ্যে অকৃষি জমি ১০ কাঠা, যার মূল্য ৩৪ লাখ ১ হাজার ৯৫৭ টাকা এবং ৩টি ফ্ল্যাট, যার মূল্য ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
এ ছাড়া ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের হলফনামায় ৩ হাজার ৭০০ ডলার ও ২৫ পাউন্ড গচ্ছিত আছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। যা ২০২৩ সালের হলফনামায় দেখানো হয়েছে ৪ হাজার ৪০০ ডলার ও ২২৫ পাউন্ড।