দৈনিক শিক্ষাডটকম, ঢাবি: সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়া ফিলিস্তিনের মুক্তির জন্য শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে বিশ্বজুড়ে নিপীড়িত মানুষের পক্ষে, মানবতার পক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়।
বোরবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে এ মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, পৃথিবীর সবচেয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে তথ্য প্রমাণবহুল গণহত্যা হলো ফিলিস্তিনের গণহত্যা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে এতো সংখ্যক নারী-শিশুকে এর আগে কখনো হত্যা করা হয়নি। অথচ মানবতার ফেরিওয়ালা বলে দাবি করা পৃথীবির মোড়লরাই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এ গণহত্যায় মদদ দিচ্ছে।
সমাবেশে উপস্থিত থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক নকিব নাসরুল্লাহ বলেন, আজকে আমরা মানবতায় উদ্ভুদ্ধ হয়ে এখানে এসেছি। আজকে আমাদের অবস্থান নিপীড়িত মানুষের পক্ষে। ফিলিস্তিনের মানুষের পাশে দাড়াতে আপনাকে মুসলিম হতে হবে না। শুধু মানুষ হলেই হবে। এমন গণহত্যা পৃথিবীর সমস্ত ইতিহাসকে ভেঙে দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, নেতানিয়াহু এবং এই যুদ্ধের সরাসরি মদদদাতা বাইডেন যুদ্ধাপরাধী৷ ফিলিস্তিনের পক্ষে পুরো বিশ্বে আন্দোলন শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের সর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলেনে জেগে ওঠা উচিত। এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তাদের সব চক্রান্ত শেষ হবে।
সমাবেশে ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের শিক্ষক আরিফুল ইসলাম অপু বলেন, আমাদের এই আন্দোলন কোনো নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর জন্য নয়। এই আন্দোলন মানবতার বিরুদ্ধে বিষ ফোড়া ওইসব রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে। তথ্য-প্রমাণসহ গণহত্যা দেখার পরেও পৃথিবীর মোড়লরা তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না। ফলে এই ব্যবস্থা নিয়ে আমাদের প্রশ্ন তুলতে হবে।
বিক্ষোভ সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টেমেন্টের শিক্ষার্থী মিশকাতুল জান্নাত বলেন, গাজায় এ পর্যন্ত হতাহত হয়েছে ৩৪ হাজার ৬০০ জন মানুষ, যারা ইজরায়েলি বাহিনীকে একটি পাথর পর্যন্ত নিক্ষেপ করেনি। বাদ যায়নি শিশু বা নারী।