যুদ্ধ নয়, শান্তি চায় বাংলাদেশ : প্রধানমন্ত্রী - দৈনিকশিক্ষা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চায় বাংলাদেশ : প্রধানমন্ত্রী

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি |

শান্তি প্রতিষ্ঠায় সেনাবাহিনীকে সদা-প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুদ্ধ নয়, শান্তি চায় বাংলাদেশ। আমাদের সশস্ত্র বাহিনী যুদ্ধের জন্য নয়, শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য।

রোববার (৪ ডিসেম্বর)  চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিতে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে ৮৩তম বিএমএ দীর্ঘ মেয়াদি কোর্সের রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজের সালাম গ্রহণ শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।

নবীন সেনা কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যুদ্ধ করে বিজয় অর্জনকারী একটি দেশ, একটি জাতি। মনে সাহস রেখে, মাথা উঁচু করে বিশ্ব দরবারে তোমরা চলবে এবং নিজেদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উপযুক্ত করে গড়ে তুলবে।

তিনি আরও বলেন, তোমাদের মনে রাখতে হবে, তোমরা এ দেশের সন্তান; জনগণের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই তোমাদের সবাইকে সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখ ও হাসি-কান্নার সমান অংশীদার হতে হবে। সুযোগ্য নেতৃত্ব, সার্বিক দিক-নির্দেশনা, পেশাদারিত্ব, দেশপ্রেম ও আন্তরিকতার মাধ্যমে তোমাদের দেশের সেবা করে যেতে হবে। দেশপ্রেমের মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করাই তোমাদের পেশাগত জীবনের প্রধান ব্রত।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আজকের নবীন অফিসাররাই হবে ২০৪১-এর সৈনিক, যারা বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলবে। লক্ষ্য স্থির রেখে আমরা এগিয়ে যাব।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন দায়িত্ব নেন। তার একটাই লক্ষ্য ছিল, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতীক সশস্ত্র বাহিনীকে তিনি আরও পেশাদার ও শক্তিশালী হিসেবে গড়ে তুলবেন। ১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দের কুমিল্লা সেনানিবাসে মিলিটারি একাডেমির শুভ উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ১১ জানুয়ারি বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি প্রথম ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নবীন সামরিক অফিসারদের পেশাগত দক্ষতা, নৈতিক গুণাবলিসম্পন্ন ও দেশপ্রেমের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজেদের গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের পর আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস হারিয়ে যেতে বসেছিল। বিকৃত করা হয়েছিল, দীর্ঘ ২১ বছর পর (১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দ) আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে তা পরিবর্তন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এবং আদর্শে যাতে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী গড়ে ওঠে, আমরা সেই পদক্ষেপ নিই। সামরিক বাহিনীকে আধুনিক করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ জাতির পিতা যখন গড়ে তুলছেন, রিজার্ভ মানি ছিল না এক টাকাও। তার সঙ্গে সঙ্গে কারেন্সি নোট ছিল না। তখনও সেনাবাহিনীর জন্য তিনি ট্যাংক কিনে আনেন এবং অন্যান্য সমরাস্ত্র ক্রয় করে অনেক শক্তিশালী সেনাবাহিনী গড়ে তোলার পদেক্ষপ নেন। তার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই আমরা সেনাবাহিনীকে আরও যুগোপযোগী করার জন্য আমি ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ (এনডিসি) প্রতিষ্ঠা করি। সেনাবাহিনীতে ২০০০ খ্রিষ্টাব্দের প্রথম দীর্ঘমেয়াদি কোর্সে নারীদের অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিই।

তিনি আরও বলেন, ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দের দ্বিতীয়বার যখন সরকার গঠন করি, তখনই আমরা জাতির পিতা ১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দের প্রতিরক্ষা নীতিমালা প্রণয়ন করে দিয়েছিলেন, তারই ভিত্তিতে ফোর্সেস গোল-২০৩০ প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়নের কাজ শুরু করি। ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের বাংলাদেশ পিস বিল্ডিং সেন্টার (বিপিসি) প্রতিষ্ঠা করি। একই সঙ্গে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতি প্রণয়ন করি।

শেখ হাসিনা বলেন, আজকে আমি অন্তত এটুকু বলতে পারি, আমরা দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর যে ফোর্সেস গোল বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি, সেই সাথে সাথে বাংলাদেশের জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্য স্থির করে আমাদের সুবর্ণজয়ন্তী পালন করেছি, ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী পালন করেছি। আমাদের সৌভাগ্য, ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে, আমরা উন্নীত হয়েছি। আমি সেই সঙ্গে বলতে চাই, আমরা যেহেতু ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছি।

৬ষ্ঠ ও ৮ম শ্রেণির বাদপড়া শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ - dainik shiksha ৬ষ্ঠ ও ৮ম শ্রেণির বাদপড়া শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ ‘ভুয়া প্রতিষ্ঠাতা’ দেখিয়ে কলেজ সভাপতির প্রস্তাব দিলেন ইউএনও - dainik shiksha ‘ভুয়া প্রতিষ্ঠাতা’ দেখিয়ে কলেজ সভাপতির প্রস্তাব দিলেন ইউএনও বেরোবি শিক্ষক মনিরুলের নিয়োগ বাতিল - dainik shiksha বেরোবি শিক্ষক মনিরুলের নিয়োগ বাতিল এমপিও না পাওয়ার শঙ্কায় হাজারো শিক্ষক - dainik shiksha এমপিও না পাওয়ার শঙ্কায় হাজারো শিক্ষক কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক জাল সনদে শিক্ষকতা করা আরো ৩ জন চিহ্নিত - dainik shiksha জাল সনদে শিক্ষকতা করা আরো ৩ জন চিহ্নিত এসএসসি ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের ফরম পূরণের পূর্ণাঙ্গ বিজ্ঞপ্তি দেখুন - dainik shiksha এসএসসি ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের ফরম পূরণের পূর্ণাঙ্গ বিজ্ঞপ্তি দেখুন কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0035059452056885