চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য নির্বাচিত প্রার্থীরা দ্রুত যোগদান করতে চাচ্ছেন। দ্রুত চূড়ান্ত সুপারিশ নিয়ে যোগদানের দাবি জানিয়ে সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ইস্কাটনে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেছেন তারা। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মানববন্ধন চলে। পরে তারা এনটিআরসিএর কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে হবু শিক্ষকরা মানববন্ধন কর্মসূচি শেষ করেন।
হবু শিক্ষকরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরেই তারা তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির মতো চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতেও পুলিশ ভেরিফিকেশন চালু অবস্থায় শিক্ষক প্রার্থীদের চূড়ান্ত সুপারিশের দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে চূড়ান্ত সুপারিশের বিষয়ে অনুমোদন দেয়া হয়নি। প্রাথমিক সুপারিশ পাওয়ার কয়েক মাস পার হলেও চূড়ান্ত সুপারিশ করা হচ্ছে না। এনটিআরসিএ কালক্ষেপণ করছে। এর ফলে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দুরাবস্থায় সময় পার করছি। এনটিআরসিএর কাছে একটাই চাওয়া, দ্রুত চূড়ান্ত সুপারিশ দেয়া হোক।
এনটিআরসিএর কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে হবু শিক্ষকদের নেতা মো. ইমরান খান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমরা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করার সময় তারা নতুন জটিলতার কথা জানিয়েছেন। তারা বলছেন, নতুন করে নির্বাচন না পাওয়া এক প্রার্থী রিট করেছেন। যার ফলে আদালত নিয়োগ কার্যক্রম ছয় মাস স্থগিত রাখতে বলেছেন। কর্মকর্তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন তারা জটিলতা নিরসনে কাজ শুরু করেছেন। আমরা তাদের ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছি। ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তারা এ জটিলতা সমাধান তথা আমাদের চূড়ান্ত সুপারিশের ব্যবস্থা না করলে আমরা সবাই আলোচনা করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবো।
আরো পড়ুন : এমপিও শিক্ষকদের বেয়াড়াপনায় আসছে আচরণবিধির লাগাম
জানা গেছে, ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে চূড়ান্ত সুপারিশের অপেক্ষায় আছে ৩২ হাজার শিক্ষক প্রার্থী। এর মধ্যে প্রায় ২৮ হাজার প্রার্থীর ভিরোল ফরম পূরণ করে অনলাইনে জমা দিয়েছেন। পুলিশ ভেরিফিকেশন চলমান রেভে তাদের চূড়ান্ত সুপারিশ করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি চেয়েছে এনটিআরসিএ। চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের ২১ ডিসেম্বর। প্রাথমিক সুপারিশের ফল প্রকাশ করা হয় গত ১২ মার্চ। এতে দেশের স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য ৩২ হাজারের বেশি প্রার্থীকে নির্বাচন করা হয়। এর প্রায় দেড় মাস পর তাদের চূড়ান্ত সুপারিশের জন্য প্রথমবারের মতো অনলাইনে ভি-রোল ফরম পূরণের নির্দেশ দেয় এনটিআরসিএ। এরপর আরো দুই দফায় ফরম পূরণের সময় বাড়ানো হয়।
হবু শিক্ষকরা বলছেন, চাকরি পেয়েও যোগদান করতে না পারার ফলে পারিবারিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে আমরা হেয়প্রতিপন্ন হচ্ছি। শিক্ষক সংকটের কারণে প্রতিষ্ঠানগুলোও জটিলতায় পড়ছে। তাই দ্রুত সুপারিশের দাবি জানিয়েছি।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।