দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ওপর যৌন নিপীড়নের ঘটনা সারাদেশের জন্যই উদ্বেগের বিষয়। যৌন নিপীড়নের শিকার ৯০ শতাংশ ছাত্রী তার শিক্ষাজীবন নিয়ে হুমকিতে পড়াসহ বিভিন্ন কারণে অভিযোগ করেন না। হাইকোর্টের আদেশ অনুসারে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ কমিটি রয়েছে। কমিটিগুলো কতটুকু কার্যকর সেটি মনিটর করা প্রয়োজন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতি যৌন-হয়রানির ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধনে বক্তরা এসব কথা বলেন। মহিলা পরিষদের উদ্যোগে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়ন বন্ধে রাজনৈতিক ছত্রছায়ার প্রভাব দূর করে অপরাধকারী শিক্ষককে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। চাকরিচ্যুত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সদিচ্ছা, রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ গ্রহণ, অতিদ্রুত হাইকোর্টের রায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাস্তবায়নসহ রায়ের আলোকে আইন প্রণয়নের দাবি জানান।
মানববন্ধন কর্মসূচির সভাপতিত্ব করেন মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম। বক্তব্য দেন পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদা রেহানা বেগম, আন্দোলন সম্পাদক রাবেয়া খাতুন শান্তি, ঢাকা মহানগর কমিটির লিগ্যাল এইড সম্পাদক শামীমা আফরোজ আইরিন এবং অ্যাডভোকেসি ও লবি পরিচালক জনা গোস্বামী।
ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বারবার সংঘটিত যৌন নিপীড়নের ঘটনা বাংলাদেশের শিক্ষাঙ্গনকে চরম বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দিয়েছে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত। শিক্ষাঙ্গনে দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। রাজনৈতিক অপতৎপরতা বন্ধ করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ কমিটিকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে।