দৈনিক শিক্ষাডটকম, তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) : রমজানে সরকারের পক্ষ থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সে অনুসারে তাহিরপুরের বিদ্যালয়গুলোতেও নিয়মিত বিদ্যালয় চলছে। তবে প্রথম রোজা থেকেই বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কমতে শুরু করেছে।
এলাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এমনিতেই সাধারণ সময়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার ১৫ থেকে ২০ ভাগ। রোজা শুরুর পর থেকে নানা অজুহাতে তারা বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকছে। এদিকে গরম বাড়তে থাকায় উপস্থিতি আরও কমতে শুরু করেছে বলে জানান তারা।
তাহিরপুর উপজেলায় মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, মাদরাসাসহ মোট ২৭টি ও প্রাথমিক পর্যায়ে ১৩৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। সব প্রতিষ্ঠানের প্রধানরাই শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির ব্যাপারে এমন তথ্য জানিয়েছেন।
তাহিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ ইয়াহিয়া তালুকদার জানান, বিদ্যালয়ে ছাত্রীদের উপস্থিতি একেবারেই কম। ছাত্রীরা উপস্থিত না থাকলেও শিক্ষকদের উপস্থিত থাকতেই হয়। এমন অবস্থায় যে লক্ষ্যে সরকার বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা পূরণ হচ্ছে না। শিক্ষার্থী উপস্থিতি কম থাকায় পাঠদানে অগ্রগতি খুবই কম।
আনোয়ারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিমল চন্দ্র দে জানান, তার প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার ২০ থেকে ২৫ ভাগ। ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতি কম, তবে শিক্ষকরা নিয়মিত আসছেন। রমজান মাসে প্রতিবারই এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি আরও কমবে।
উপজেলার বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়নের বড়দল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ে উপস্থিতির হার ১৫ থেকে ২০ ভাগ। যারা নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসে, তারাও এখন অজুহাত দিচ্ছে না আসার। তা ছাড়া অনেক শিক্ষার্থীকে এই সময় পরিবারের কাজে বাড়তি সময়ও দিতে হয়। কেউ কেউ রোজা রেখে ক্লান্ত হয়ে যায়।