রংপুর মেডিক্যাল কলেজ (রমেক) ও হাসপাতালের ইনডোর ও আউটডোরে চিকিৎসাসেবা বন্ধ রেখে নতুন অধ্যক্ষকে অপসারণের দাবিতে এবার হাসপাতালে দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেছেন চিকিৎসকেরা।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী চিকিৎসক আন্দোলনের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
বহির্বিভাগসহ সব ওয়ার্ড থেকে চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দিয়েছেন তারা। এতে হাসপাতালে শত শত রোগীর দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এদিকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজে অধ্যক্ষের কক্ষে এখনো তালা ঝুলছে। এ পরিস্থিতিতে পরীক্ষা ছাড়া কোনো ক্লাস অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। গত ২৯ অক্টোবর থেকে এই আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে।
আন্দোলন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, উপাধ্যক্ষ থেকে অধ্যক্ষ পদে পদোন্নতি পাওয়া নতুন অধ্যক্ষ মাহফুজার রহমানের অফিস আদেশ বাতিল করা না হলে কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে। ইতিমধ্যে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকেরা দুই ঘণ্টার প্রতীকি কর্মবিরতি পালন করেছেন। পর্যায়ক্রমে কর্মবিরতি কর্মসূচির সময় বাড়ানো হবে। একপর্যায়ে কমপ্লিট শার্টডাউন কর্মসূচি দেয়া হবে।
সকালে মেডিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখা যায়, অধ্যক্ষের কক্ষে তালা ঝুলছে। চিকিৎসকদের কর্মবিরতির কারণে কোনো ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়নি, তবে পরীক্ষা চলছে।
কলেজের নতুন উপাধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রশাসনিক দপ্তর খোলা থাকলেও চিকিৎসকদের কর্মবিরতি কর্মসূচি অব্যাহত থাকায় ক্লাস অনুষ্ঠিত হচ্ছে না।
চিকিৎসকদের কর্মবিরতির কারণে সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা বহির্বিভাগসহ পুরো হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা বন্ধ ছিল। ১০টার পর হাসপাতালের কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়ে ওঠে।
হাসপাতালের উপপরিচালক আখতারুজ্জামান বলেন, চিকিৎসকদের দুই ঘণ্টা কর্মবিরতিতে সামান্য সময় চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হয়েছে। ১০টা থেকে চিকিৎসাসেবা শুরু হয়েছে।
২৯ অক্টোবর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মুহাম্মদ মকবুল হোসেনের সই করা এক চিঠিতে রংপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ শাহ মো. সরওয়ার জাহানকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করে একই কলেজের উপাধ্যক্ষ মাহফুজার রহমানকে অধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়া হয়। একই সঙ্গে উপাধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়া হয়েছে সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনকে।