আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত আগামী এক মাস গরুর মাংস ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আজ বৃহস্পতিবার থেকে এই দাম কার্যকর হবে। নির্বাচনের পর মাংসের দাম ফের সমন্বয় করা হবে বলেও জানিয়েছেন তারা।
গতকাল বুধবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সাদেক অ্যাগ্রোর কার্যালয়ে মাংস উৎপাদন ও বিপণনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিডিএফএ) ও মাংস ব্যবসায়ী সমিতির ।
সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মুর্তজা বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে রাজধানীর বাজারগুলোতে ৬৫০ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রি করা হবে। এরপর সারাদেশে তা বাস্তবায়ন করা হবে। ব্যবসায়ী ও ক্রেতা উভয়ের স্বার্থে একেক বাজারে একেক দরে গরুর মাংস বিক্রির সুযোগ নেই বলেও জানান তিনি।
ব্যবসায়ীদের সভা সূত্রে জানা গেছে, প্রতি কেজি গরুর মাংসে ৭৫০ গ্রাম মাংস, ২০০ গ্রাম হাড় ও ৫০ গ্রাম চর্বি থাকবে। মানহীন মাংস বিক্রি করতে পারবেন না ব্যবসায়ীরা। এক মাস পরীক্ষামূলকভাবে মাংস বিক্রির পর আবার মূল্য সমন্বয় করা হবে।
বিডিএফএর সাধারণ সম্পাদক শাহ ইমরান বলেন, গরুর মাংসের দাম সমন্বয়ের জন্য ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সভায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে বৈঠক করতে বলা হয়েছিল। এ ক্ষেত্রে খামারি, বিক্রেতা ও ভোক্তাদের কথা বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। নতুন করে বেঁধে দেওয়া দাম কার্যকর করতে সবাইকে সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।
ঢাকার বাজারে কোথাও কোথাও ৬০০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে; বেশিও রাখছেন কেউ কেউ। এভাবে একেক জায়গায় একেক দামে মাংস বিক্রি হওয়ায় ক্রেতারা বিভ্রান্ত হচ্ছেন। সে জন্য মাংসের দাম সমন্বয়ে গত রবিবার সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে মতবিনিময় সভায় বসে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সেই সভায় মাংস ব্যবসায়ীরা দফায় দফায় হট্টগোল করেন।
সেদিন কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। তবে সভায় সিদ্ধান্ত হয়, বুধবার বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি, বিডিএফএসহ সব পক্ষ গরুর মাংসের দাম ঠিক করবে। ওই সভার সিদ্ধান্ত আগামী রবিবারের মধ্যে ভোক্তা অধিদপ্তরে প্রতিবেদন আকারে জমা দিতে হবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনও (বিটিটিসি) গরুর মাংসের বাজার যাচাই করবে।