গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে (গাউক) চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করলেও রাজনীতি করতে কোনো বাধা নেই বলে মন্তব্য করেছেন আজমত উল্লা খান। তিনি বলেন, আমি নতুন পদে থেকে রাজনীতি করতে পারবো কি-না এটা নিয়ে কিছু মানুষ বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। আমি তাদের অনুরোধ করবো গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের যে আইনটি রয়েছে তা ভালো করে পড়ে দেখুন। সেখানে রাজনীতি করতে কোন বাধা নেই।
মঙ্গলবার বিকেলে নিজ অফিসে সহকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
পরিকল্পিত নগরায়ন গড়ে তোলার ব্যাপারে তিনি বলেন, গাউক এলাকায় যত্রতত্র যেন কেউ কোন ঘরবাড়ি নির্মাণ করতে না পারে, সেই দিকে নজর দেবো। তাছাড়া ঘরবাড়ি অবশ্যই হতে হবে পরিকল্পনা মাফিক। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করতে নালা ও জলাশয়গুলোকে প্রয়োজনে পূনঃখনন করে সংরক্ষণ করা হবে। বাংলাদেশে যে পরিবেশ আইন রয়েছে, তা যাতে এখানে প্রতিপালিত হয় তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হবে।
আজমত উল্লা খান বলেন, গাজীপুরসহ বাংলাদেশ ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে। তাই ভূমিকম্প প্রতিরোধের কথা মাথায় রেখেই যথাযথভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার করে আমরা স্থাপনা নির্মাণে অনুমতি দেবো। একটি পরিকল্পিত ও বাসযোগ্য নগরী নির্মাণে আমার নানা পরিকল্পনা রয়েছে। প্রথম দিন এসব নিয়েই আমি আমার সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তবে এ মুহুর্তে যেটা দরকার তা হলো দক্ষ জনবল। এজন্য আমি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে দুই-একদিনের মধ্যেই আলোচনা করবো। আমার সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে এটাকে একটি মহান দায়িত্ব মনে করে যদি যার যার কাজ করি তহালে আমি মনে করি গাজীপুর নগরীকে একটি পরিকল্পিত ও বাসযোগ্য আধুনিক নগরীতে পরিণত করতে পারবো। তবে এটা করতে আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জ আসবে। সবার সহযোগিতা নিয়েই এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করবো।
প্রসঙ্গত, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে হারের ১০ দিনের মাথায় গত রোববার বিকেলে আজমত উল্লা খানকে গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। গাজীপুর নগরীকে একটি আধুনিক, সুপরিকল্পিত, শিল্প ও আকর্ষণীয় পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে ৮ সেপ্টেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনে গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন পাস হয়। ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে নভেম্বরে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) আদলে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (গাউক)।