রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপিত হয়েছে। মঙ্গলবার দিবসটি উপলক্ষে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. হাবিবুর রহমান বোর্ড চত্বরে বঙ্গবন্ধু শতবর্ষ স্মারক ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভার শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী ৩০ লাখ শহীদ, ২ লাখ নির্যাতিত মা-বোন, ১৫ই আগস্টের কালরাতে শহীদ বঙ্গবন্ধু, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ তাঁর পরিবারের সব সদস্য, জাতীয় ৪ নেতা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগের প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
আলোচনায় অংশ নেন রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সচিব মো. হুমায়ূন কবীর, বিদ্যালয় পরিদর্শক মহা জিয়াউল হক, কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক সহসভাপতি মো. আজাদ আলী, উপ-বিদ্যালয় পরিদর্শক হোসনে আরা আরজুসহ অনেকে। বক্তারা বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনের নানান অধ্যায় ও ত্যাগ-তিতিক্ষার কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, এমন এক সময় বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন করছি, যখন তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে।
বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারী, ছাত্র-শিক্ষক এবং সেবাগ্রহীতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বাংলাদেশের অগ্রগতি বানচালের লক্ষ্যে দেশি-বিদেশি স্বাধীনতা বিরোধী চক্রান্তকারীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তাদের চক্রান্ত কখনই সফল হবে না। তারা যেন দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে না পারে এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
অধ্যাপক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশকে আমরা কখনই পেছনের দিকে নিয়ে যেতে পারি না। তিনি প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ভিসন-২০৪১ অর্থাৎ উন্নত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সবাইকে সততার সঙ্গে নিজ নিজ কর্তব্য পালন করতে হবে।
সভা শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। দোয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বোর্ড মসজিদের ইমাম আবুল হাশেম মো. রহমতুল্লাহ। অনুষ্ঠানের সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন বোর্ডের প্রধান মূল্যায়ন অফিসার (চলতি দায়িত্ব) এস এম গোলাম আজম।