ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আবারও স্থাপন করা হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাস্কর্যটি। ‘গুম’ হওয়ার পর উদ্ধার হওয়া ভাস্কর্যের ভাঙা মাথা দিয়ে আজ শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ভাস্কর্যটি পুনঃস্থাপন করা হয়।
এদিন পুনরায় এই ভাস্কর্য নির্মাণ ও স্থাপনের নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি শিমুল কুম্ভকার।
এ সময় ভাস্কর্যের পাশে 'ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল এবং সকল ধরনের সেন্সরশিপ বন্ধ কর' ও 'তোমার পূজার ছলে তোমায় ভুলে থাকি' লেখা সম্বলিত ব্যানার দেখা যায়।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি শিমুল কুম্ভকার বলেন, প্রতিবাদের জন্য বিশ্বে কোথাও অনুমতি নেওয়ার নজির নেই। আমরা মতপ্রকাশের গুরুত্ব বুঝাতে এটি স্থাপন করেছি। তবে প্রশাসন ভাস্কর্যটি সরিয়ে দেয়। আমরা আবারও ভাস্কর্যটি স্থাপন করেছি।
এর আগে দেশে মুক্তচিন্তা, সৃজনশীলতা ও স্বাধীন মতপ্রকাশের ওপর সেন্সরশিপ এবং সব ধরনের নিপীড়নের প্রতিবাদে ১৪ ফেব্রুয়ারি ভাস্কর্যটি স্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের একদল শিক্ষার্থী।
পরে বৃহস্পতিবার ভোরে ভাস্কর্যটি সেখান থেকে হঠাৎ উধাও হয়। পরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ময়লার স্তূপ থেকে ভাস্কর্যের খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করা হয়।
নতুন করে ভাস্কর্য স্থাপনের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, এই ভাস্কর্য অবৈধ বলেই এটি সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আমরা শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করব, তারা যেন এটি সরিয়ে ফেলে। শিক্ষার স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত হয় এমন কিছু যেন তারা না করে।