রাজশাহী বিভাগের শিক্ষার্থীদের কারিকুলার ও কো-কারিকুলার কার্যক্রমে উদ্বুদ্ধ করতে ও সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের লক্ষে আয়োজিত ট্যালেন্ট হান্ট-৩ এর ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন’স কমপ্লেক্সে শুরু হয় প্রতিযোগিতাটির চূড়ান্ত পর্ব। গত ২৮ অক্টোবর প্রতিযোগিতাটি শুরু হয়।
ইউনাইটেড ন্যাশনস ইয়ুথ অ্যান্ড স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউনিস্যাব) রাজশাহী বিভাগ আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় রাজশাহী বিভাগের প্রায় ৩৫০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। দলগতভাবে প্রায় ৮৫টি দল এবং এককভাবে প্রায় ১১৫ জন অংশগ্রহণ করেন। প্রথম ধাপে শিক্ষার্থীদের অনলাইনের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হয়। প্রত্যেক সেগমেন্ট থেকে ১০ জনসহ মোট ৪০ জনকে নিয়ে গ্রান্ড ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতার চারটি ভিন্ন সেগমেন্ট ছিল। সেগমেন্টগুলো হলো- প্রবলেম সলভিং, স্লাইড মেকিং, ইনোভেটিভ পোস্টার ডিজাইন, ক্রিয়েটিভ কন্টেন্ট রাইটিং। দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত ফাইনাল রাউন্ড শেষে প্রতিযোগীদের প্রতিটি সেগমেন্টে তিনটি করে মোট ১২টি অ্যাওয়ার্ডসহ বিভাগীয় স্বীকৃতি দেয়া হয়। পাশাপাশি প্রতিটি সেগমেন্টে অংশগ্রহণকারী ও বিজয়ীদের সনদপত্র দেয়া হয়।
ফাইনালে প্রবলেম সলভিং-এর বিচারক হিসেবে ছিলেন, ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেডের এরিয়া সেলস ম্যানেজার মো. আব্দুল মোমেন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ প্রভাষক এ. টি. এম. শহীদ পারভেজ। স্লাইড মেকিং-এ বিচারক হিসেবে ছিলেন ম্যারিকে বাংলাদেশ লিমিটেডের সিনিয়র টেরিটরি ম্যানেজার মো. রেজওয়ানুল হক ও হেগুয়াং ইলেক্ট্রনিক ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক এক্সিকিউটিভ সাব্বির আহমেদ। পোস্টার ডিজাইনের বিচারক ছিলেন জিংগো কোম্পানি লিমিটেডের ডিজাইনার অনুপ মন্ডল ও ইউনিস্যাব রাজশাহী বিভাগের প্রাক্তন সদস্য অনিক চন্দ্র শীল। এছাড়াও কন্টেন্ট রাইটিং-এ বিচারক ছিলেন, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ইমরান হোসেন।
অনুষ্ঠানে ইউনিস্যাবের সহকারী আঞ্চলিক সম্পাদক ইয়াছিন আরাফাতের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ড. মো. আমিরুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি ছিলেন আন্তর্জাতিক বিষয়ক দপ্তরের পরিচালক মুহাম্মদ সাজ্জাদুর রহিম, ম্যানেজমেন্ট ইস্টাডিস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জনাব মো. জহুরুল আনিস, ইউনিস্যাবের প্রাক্তন উপ-আঞ্চলিক সম্পাদক রাশেদ মোল্লা, প্রাক্তন আঞ্চলিক সম্পাদক সাব্বির আহমেদ, প্রাক্তন প্রশাসনিক সমন্বয়কারী সুমাইয়া ইসলাম উর্মি, প্রাক্তন আঞ্চলিক সম্পাদক অনিক চন্দ্র শীল।
এ বিষয়ে সংগঠনটির বর্তমান আঞ্চলিক সম্পাদক আক্তারুজ্জামান বাবু বলেন, আমাদের এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে পার্টিসিপ্যান্টরা তাদের কো-কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটিজ ফুটিয়ে তোলার সুযোগ পান। তাদের নেটওয়ার্ক বিল্ডআপ এবং খুব সহজে কমিউনিকেশন স্কিল ডেভলপ করার সুযোগ তৈরি করার চেষ্টা করি আমরা। আর সকল পার্টিসিপ্যান্টদের জন্য সার্টিফিকেট দেয়া হয় যাতে তার কর্মজীবনে কিছুটা হলেও সহায়ক ভূমিকা রাখে।