রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের মূল ফটকে থাকা বঙ্গবন্ধু ম্যুরালটি ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (১৩ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তবে ম্যুরাল ভাঙচুরের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে জানিয়েছেন সমন্বয়কেরা।
হলের নিরাপত্তা প্রহরী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫-২০ জন এসে হল গেটের সামনের লাইটটি বন্ধ করে দেয়। একপর্যায়ে তারা হল গেটে থাকা বঙ্গবন্ধু ম্যুরালটি ভাঙতে শুরু করে। এ সময় ভাঙচুরকারীরা হলের কর্তব্যরত নিরাপত্তা প্রহরীকে দূরে সরে যেতে বলে। ম্যুরাল ভাঙার পর তারা হলের নামফলকটিও ভাঙার চেষ্টা করে।
সরেজমিন দেখা যায়, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালটির মুখের অবয়ব পুরোটা ভেঙে ফেলা হয়েছে। ম্যুরালটির মুখমণ্ডলে শাবল দিয়ে খোঁচানো হয়েছে। ম্যুরালের সামনের সীমানা প্রাচীর লোহার চেইনের অংশটুকুও ভেঙে ফেলা হয়েছে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার, সহ-উপাচার্য সুলতান-উল-ইসলাম ও হুমায়ুন কবীর, প্রক্টর আসাবুল হকসহ বর্তমান প্রশাসনের ৩১ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন। এ ছাড়া গত মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শাইখুল ইসলাম মামুন জিয়াদ পদত্যাগ করায় ম্যুরাল ভাঙচুরের বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কারও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
তবে ভাঙচুরের সঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে জানিয়েছেন সমন্বয়ক গোলাম কিবরিয়া মো. মেশকাত চৌধুরী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আপনার কাছ থেকেই ম্যুরাল ভাঙচুরের বিষয়টি শুনলাম। কে বা কারা এটি করেছে, সেটি জানা নেই। ম্যুরাল ভাঙচুরের সঙ্গে আমাদের কোনো শিক্ষার্থীর সম্পৃক্ততা নেই।’