প্রতিষ্ঠার ৭২ বছরে এমন সমস্যায় পড়েনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি)। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর, শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে উপচার্যসহ ২৯ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা একযোগে পদত্যাগ করেন ৮ আগস্ট। শীর্ষ কর্মকর্তাদের একসঙ্গে পদত্যাগের কারণে চলতি মাসের বেতন পাওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চিয়তা।
এমন বাস্তবতায় কোষাধ্যক্ষ মো. অবাইদুর রহমান প্রমাণিকের প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনের কথা। তবে তিনি জানান, পদত্যাগকারী ভিসি তাঁকে দায়িত্ব দিয়ে যাননি।
এ ছাড়া হিসাব পরিচালকও পদত্যাগ করায়, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বেতন দেওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। ঠিক সময়ে বেতন পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় শিক্ষক-কর্মকর্তারা। শিগগির বিষয়টির সুরাহা চান তাঁরা।
এ বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ মুহাম্মদ আলী রেজা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা বেতন কীভাবে পাবেন সেটা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। বেতন না হলে অন্য কোনো উপায়ে উপার্জনের চেষ্টা করতে হবে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ বিভাগের অধ্যাপক ড. হাসনাত আলী বলেন, ‘আইনগতভাবে এ ধরনের পরিস্থিতিতে কোষাধ্যক্ষ ভাইস চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পালন করবেন এটিই হবার কথা। অন্যথা অন্যদের যা পরিণতি হয়েছে তাঁরও একি পরিণতি হবে।’