রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রক্টর অফিসে লুকিয়ে থাকা চারজন ও রহমাতুন্নেসা হল থেকে এক বহিরাগত মেয়েকে আটক করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আটককৃত ছাত্রীর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে তিনি নগরীর একটি কলেজের ছাত্রী বলে জানা গেছে।
বুধবার (১৭ জুলাই) রাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে।
আটকরা হলেন- লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মোতাসিম বিল্লাহ মাহিম, সিএসই বিভাগের মো. রনি ইসলাম ও বখতিয়ার হাসান, ইসলামিক স্টাডিজ, বিভাগের আব্দুর রাজ্জাক।
এর আগে সকাল ১০টা থেকে রাবি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। দুপুর বারোটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রধান প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। এ সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে পাঁচ দাবি করেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন না মানলে উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারসহ কয়েকজন প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে কয়েক ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
সন্ধ্যা ৭টায় কাজলা গেট এলাকায় আগে থেকেই অবস্থান নেওয়া পুলিশ, বিজিবি এবং র্যাবের যৌথ বাহিনী ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দিতে যৌথ বাহিনী টিয়ার শেল, সাউন্ড গ্রেনেড এবং রাবার বুলেট ছোড়ে। প্রায় এক ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে উপাচার্যসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এদিকে অভিযানের সময় প্রক্টর অফিসে লুকিয়ে থাকা চারজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টোরিয়াল টিম। অন্যদিকে সন্ধ্যার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রহমাতুন্নেসা হল থেকে এক বহিরাগত মেয়েকে আটক করেন হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ছেলেরা ৪ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের গেটের তালা ভেঙে প্রবেশের চেষ্টা করে। তারা অগ্নিসংযোগের পরিকল্পনা করছিল। তাদের কাছে পেট্রোল বোমা বানানোর সরঞ্জাম (কাচের বোতল, পেট্রোল/ কেরোসিন) পাওয়া গেছে। আর মেয়েটা বহিরাগত ছিল। সে শিক্ষকদের মারার জন্য চড়াও হয়েছিল। পরে তাকে সন্দেহ করে শিক্ষার্থীরা আমাদের কাছে তুলে দেয়।