সাত দফা দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য ভবনের সামনে আমরণ অনশনে বসা আট শিক্ষার্থী মৌখিক আশ্বাসে অনশন ভেঙেছেন। সোমবার রাত সোয়া ১টার দিকে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবীরসহ প্রশাসনের একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাদের দাবি মানার আশ্বাসে দিলে অনশন ভঙ্গ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার রাত পৌনে ১১টা থেকে শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙানোর চেষ্টা করতে থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর, সহকারী প্রক্টর জহিরুল আনিস ও আরিফুর রহমান, শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস, ম্যানেজমেন্ট স্ট্যাডিজ বিভাগের অধ্যাপক শেখ শামসুল আরেফিনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা। পরে সোমবার রাত সোয়া ১টার দিকে অনশনরত শিক্ষার্থীরা অনশন ভাঙতে রাজি হন। পরে তাদেরকে অনশন ভাঙিয়ে উপাচার্যের বাস ভবনে নিয়ে যান কর্মকর্তারা।
গত শনিবার বিকেলে স্থানীয় বিনোদপুর বাজারে এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ২০০ শিক্ষার্থী আহত হন।
শিক্ষার্থীরা জানান, বাসভাড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে এক চালকের সহকারীদের সঙ্গে প্রথমে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। পরে স্থানীয়রা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে।
ওই ঘটনার পর রোববার সকালে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে।
রোববার সন্ধ্যায় উপাচার্য ভবনের সামনে আমরণ অনশনে বসেন আট শিক্ষার্থী। এসময় সুনির্দিষ্ট সাত দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা। এই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলেও জানান।